নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাজারগুলোতে গত সপ্তাহে ফুলকপি ও শিমের পাশাপাশি বেড়েছে মুরগির দামও। ফুলকপির প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৪০ টাকা। বিচি ছাড়া শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০-৩০ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে বিভিন্ন রকমের মাছ, বিচি শিম ও আলুর দাম। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।
এছাড়া বাঁধাকপি ৩৫, টমেটো ৬০-৭০, শিম ৫০, গোল বেগুন ৫০-৬০, লম্বা বেগুন ৪০, গাজর ৫০, মূলা ৪০, লাউ ৬০ এবং শসা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।আর ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৮৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬৫-১৭০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগিরও। ব্যবসায়ীরা সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ২৯০-৩০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৭০-২৮০ টাকা।
অন্যদিকে, মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং ও টাকি মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩৫০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫০ টাকা। তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১০০০-১২০০ টাকা। ছোট ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৬০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০-২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি।
বাজারের হালচাল নিয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মিলন মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, বাজারে যে ফুলকপি ও শিম আসছে, সেগুলোর মান ভালো। বিচি ছাড়া শিমের সরবরাহও কিছুটা কম। ফুলকপির সাইজ আগের থেকে বড়। এ কারণে শিম ও ফুলকপির দাম একটু বেশি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে এসব সবজির দাম কমে যেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আগের মতো বিচি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। বাজারে এখন বড় সাইজের নতুন আলু পাওয়া যাচ্ছে। এই নতুন আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। এছাড়া দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় রয়েছে পাকা টমেটো ও গাজর। গত সপ্তাহের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা। গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা।
মিলন মিয়া বলেন, বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, শাল গমের (ওল কপি) কেজি ৩০-৪০ টাকা, লাল শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকা, মুলা শাকের আঁটি ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।
সান নিউজ/এমকেএইচ