নিজস্ব প্রতিবেদক: ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা শহর ছেড়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ কোটির বেশি মানুষ। ফলে ঢাকা এখন প্রায় ফাঁকা। আর এই ফাঁকা ঢাকাকে নিরাপত্তা দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবা দেখতে হাসপাতালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বুধবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর বাড্ডা, গুলশান, হাতিরঝিল ও রামপুরা এলাকা ঘুরে পুলিশের তৎপরতা দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। চেকপোস্টে আসা গাড়ি ও মানুষকে সন্দেহজনক মনে হলে তল্লাশি করা হচ্ছে। এসব এলাকার প্রধান সড়কের পাশাপাশি অলিগলিতে টহল জোরদার করেছে পুলিশ। কিছুক্ষণ পরপর এসব এলাকায় পুলিশের টহল গাড়ি সাইরেন বাজিয়ে যাতায়াত করছে। এসময় রাস্তায় সন্দেহজনক কিছু দেখলে তল্লাশিসহ জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, এর আগে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ঢাকা ছাড়ার আগে নগরবাসীকে বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেগুলো মধ্যে রয়েছে–
আরও পড়ুন: আজ থেকে টানা ৫ দিনের ছুটিতে দেশ
১) গ্যাসের ও পানির লাইনসহ সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বাসা থেকে বের হবেন। বাসা বাড়িতে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ফিরে এসে দরজা-জানালা খুলবেন। ঘরে জমে থাকা গ্যাস বের না হওয়া পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই গ্যাসের চুলা জ্বালানো কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করবেন না।
২) বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। পূর্বে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কি না পরীক্ষা করতে হবে।
৩) বাসার চারপাশে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৪) নগদ টাকা কিংবা স্বর্ণালংকার ব্যাংক কিংবা নিকটাত্মীয়দের কাছে নিরাপদে রেখে যাবেন।
৫) রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ ফোন দিতে হবে।
৬) মোটরসাইকেল চুরি রোধে অ্যালার্ম লাগাতে হবে। এতে কেউ মোটরসাইকেল স্পর্শ করলেই অ্যালার্ম বেজে উঠবে। লক করার কাজে স্টিলের তৈরি মেরিন অ্যাংকর চেইন ব্যবহার করতে হবে। মোটরসাইকেলে জিপিএস ট্র্যাকার লাগাতে হবে এবং চাকাতে উন্নত মানের ডিস্ক লক ব্যবহার করতে হবে।
সান নিউজ/এএন