বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (ছবি: প্রতীকী)
মতামত

প্রবৃদ্ধি বিতর্কের পেছনের বিতর্ক

ড.আতিউর রহমান: চলমান গভীর করোনা সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার যথেষ্ট চাঙ্গা রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর বরাত দিয়ে সম্প্রতি একনেকে দেওয়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। আর স্বাভাবিক নিয়মেই বিশেষজ্ঞ মহলে এই তথ্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। বিতর্ক খারাপ নয়। তবে এই প্রবৃদ্ধি বিতর্কের পেছনের বিতর্ক নিয়েও কথা বলা উচিত।

নিঃসন্দেহে জিডিপি প্রবৃদ্ধিই জনগণের জীবনের মান বোঝার জন্য সবচেয়ে উৎকৃষ্ট সূচক নয়। এই সূচকে আয়ের বৈষম্য, পরিবেশের ক্ষতি, গেরস্থালি কাজের হিসাব, সম্পদের অপচয়, সমরাস্ত্রের খরচ, পুঁজি পাচারসহ নানা প্রসঙ্গ সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। সে কারণে জিডিপিকেই একটি দেশের উন্নয়নের একমাত্র সূচক হিসেবে গ্রহণের বিপক্ষে নানা মত রয়েছে। কিন্তু এ কথাও ঠিক, জাতিসংঘের দেওয়া জাতীয় আয় সম্পর্কিত পদ্ধতির আলোকেই সারাবিশ্বের প্রতিটি দেশের উৎপাদিত পণ্য ও সার্ভিস মাপা হয়। কিছু সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও পারস্পরিক তুলনার জন্যই এ সহজ পদ্ধতিটি বিশ্বব্যাপী গ্রহণ করা হয়েছে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, জিডিপির পাশাপাশি অন্যান্য সম্পূরক সূচক (যেমন মানব উন্নয়ন সূচক) যদি উপস্থাপান করা হয়, তাহলে একটি দেশের উন্নয়ন তথা অগ্রগতির সার্বিক চিত্রের সন্ধান মেলে। তাই বলে জিডিপির সূচককে হেলাফেলার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।

অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারকদের কাছে এর চেয়ে উন্নতর সূচক যতদিন না মিলছে, ততদিন এটিই তাদের বিচারে জনগণের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিমাপের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য নিয়ামক হিসেবে গণ্য হতে বাধ্য। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। এই প্রেক্ষাপট মনে রেখেই হালের জিডিপি হারের প্রাসঙ্গিক দিকগুলো নিয়ে আলাপ করতে চাই।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য অস্থায়ীভাবে প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.৪৩ শতাংশ। প্রাথমিক প্রাক্কলনের সময় কভিড পরিস্থিতি বেশ আশঙ্কাজনকই ছিল। তাই ওই সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকাটা ছিল খুবই স্বাভাবিক। তবে ধীরে ধীরে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের মূল রপ্তানি শিল্প (বস্ত্র খাত) এবং কৃষিকে সচল রাখার জন্য নানামুখী নীতি-উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ দেশের পরিশ্রমী মানুষও বেঁচে থাকার তাগিদেই জীবন ও জীবিকার নানা উপায় খুঁজে নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
এসবেরই ইতিবাচক প্রভাব শেষ পর্যন্ত অর্থনীতির বিকাশের ওপর পড়েছে। আর সে কারণেই সম্প্রতি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ২০২০-২১ অর্থবছরের চূড়ান্ত প্রবৃদ্ধির হার হিসাবে দেখিয়েছে ৬.৯৪ শতাংশ। পূর্বানুমানের চেয়ে এই ১.৫১ শতাংশ বৃদ্ধি ব্যাপক হলেও বিশেষজ্ঞদের খুব বেশি চমকে দেয়নি। কারণ শুরু থেকেই আমরা বলে আসছিলাম প্রণোদনাগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়িত করা গেলে বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে বেগবান রাখা গেলে পূর্বানুমতির তুলনায় প্রবৃদ্ধি আরও এক-দুই শতাংশ বেশিই হবে। কারণ করোনা মহামারি আসার আগে আগে আমরা অল্প কয়েক বছরের মধ্যে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের পথেই তো ছিলাম। দারিদ্র্যের হার ব্যাপকভাবে কমে আসছিল। গ্রামীণ মজুরি ও অ-কৃষি আয় দ্রুত বাড়ছিল।
অবশ্য অনেকে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং এডিবির মতো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরা যে ২০২০-২১-এর প্রবৃদ্ধি আরও কম বলেছে, সে বিষয়টি নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আগে যে ৫.৪৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বানুমান করা হয়েছিল, তখনও কিন্তু এই উন্নয়ন সহযোগীরা প্রবৃদ্ধির হার আরও কম হবে বলছিলেন। পরবর্তী সময়ে তারা কিন্তু তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসে যে নতুন প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধির হারের যে কথা বলছিলেন, সেটাও কিন্তু আমাদের পূর্বানুমিত হারের কাছাকাছিই এসেছিল। সব সময়ই আমরা দেখে এসেছি, সরকারিভাবে যে প্রবৃদ্ধির হারের কথা বলা হয় উন্নয়ন সহযোগীরা তার চেয়ে কম বলে থাকেন। এবারও তাই ঘটেছে বলে মনে হয়। হয় তো অচিরেই তারা আবারও নতুন করে ২০২০-২১-এর জন্য চূড়ান্ত প্রবৃদ্ধির হার বলবেন এবং সেটি আমাদের সরকারি হিসাবের কাছাকাছিই হবে।

বিবিএসের হিসাবের সঙ্গে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের যে পার্থক্য তা নিয়ে খুব বেশি ভাবনার কারণ আসলেই নেই। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং এডিবির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো খুবই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করে ঠিকই, তবে তারা আমাদের মতো একেবারে মাঠ পর্যায় থেকে আহরিত তথ্য নিয়ে কাজ করে না। বরং কিছু 'অ্যাসাম্পশান' এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রবাহের তথ্যের ভিত্তিতে গণনাগুলো করে থাকে। ফলে গণনার এই পদ্ধতি বেশ খানিকটা 'সাবজেক্টিভ'। এ কথাও ঠিক আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে বিবিএসের তথ্যের ওপরই নির্ভর করতে হয়।

আর সে কারণেই আমাদের জাতীয় পরিসংখ্যান প্রতিষ্ঠানটির সক্ষমতা আরও বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের গ্রামগঞ্জে যে হারে রেমিট্যান্সসহ অর্থের প্রবাহ বেড়ে চলেছে, মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের প্রসার ঘটেছে এবং এমএফআইগুলোর সঙ্গে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সংযোগ বাড়ছে, তাতে দেশব্যাপী খুদে ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সংখ্যা ব্যাপক হারে বাড়ছে। মোবাইল আর্থিক সেবার সঙ্গে ব্যাংকগুলো ডিজিটাল ন্যানো ঋণ দেওয়ার যেসব উদ্যোগ নিচ্ছে, তারও প্রভাব অর্থনীতির গতিময়তার ওপর পড়ছে। এসব আর্থিক কর্মকাণ্ডের সঠিক তথ্য আমাদের সনাতনী পরিসংখ্যান পদ্ধতিতে পুরোপুরি ধরা সম্ভব হয় বলে মনে হয় না। ধরা গেলে আমাদের জিডিপির অঙ্ক বরং আরও বেড়ে যেত।

প্রবৃদ্ধির হারের এই ব্যাপক বৃদ্ধির পেছনে কোন কোন বিষয়গুলো ভূমিকা রেখেছে, তা অবশ্যই বিশ্নেষণের দাবি রাখে। আশা করি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং বিবিএস এ নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তাদের প্রতিবেদনগুলোতে হাজির করবে। তবে খোলচোখে প্রবৃদ্ধির পেছনে মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে অভ্যন্তরীণ ভোগ। ২০১৫-১৬ অর্থবছরকে ভিত্তি বছর (বেইজ ইয়ার) ধরে যে হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে- আমাদের জিডিপির ৬৬ শতাংশের বেশি (দুই-তৃতীয়াংশ) আসছে অভ্যন্তরীণ ভোগ থেকে। পুরোনো হিসাব (২০০৫-০৬কে বেইজ ইয়ার ধরে) অনুসারেও এ অনুপাতে খুব রদবদল হয় না। কাজেই দেখা যাচ্ছে দেশের অভ্যন্তরের চাহিদাই আমাদের অর্থনীতির প্রধানতম চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। আর এই চাহিদা বেড়েছে কৃষি, রেমিট্যান্স এবং রপ্তানিমুখী শিল্পে কর্মরত গ্রামীণ জনাগোষ্ঠীর আয় প্রবাহের পরিণতিতে।

করোনা মহামারির মধ্যেও মানুষের হাতে টাকা ছিল এবং তারা ভোগ করেছে। আর এর ফলে ভোগ বেড়েছে। অভ্যন্তরীণ ভোগ (নতুন বেইজ ইয়ার অনুসারে) ২০১৯-২০ থেকে ২০২০-২১-এ প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে। ফলে এর প্রভাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধিও হয়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। এ ক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো যে, আয় বৈষম্য বাড়লেও আমাদের ভোগ-বৈষম্যের সূচক বেশ কয়েক বছর ধরেই স্থিতিশীল আছে। এর মধ্যে প্রধানত ভোগের বৃদ্ধির ওপর নির্ভরশীল জিডিপি প্রবৃদ্ধি আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্রের সূচক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

জিডিপি হিসাব করার সময় অভ্যন্তরীণ ভোগের সঙ্গে সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানির হিসাবও করা হয়। ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১- এই দুই অর্থবছরেই আমদানি বেশি হয়েছে এবং রপ্তানি কম হয়েছে। ফলে নিট হিসাবে বৈদেশিক বাণিজ্য ঋণাত্মক। সে কারণেই কোনো কোনো অর্থনীতিবিদ প্রশ্ন তুলেছেন- এই পরিস্থিতিতে প্রবৃদ্ধির হার বাড়ে কী করে? এই প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বললে ভুল হবে না যে, আমাদের আমদানির হারকে সরাসরি নেতিবাচক হিসেবে দেখাটা ঠিক নয়। মনে রাখতে হবে, আমাদের আমদানি ব্যয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ (অন্তত ৪০ শতাংশ) যাচ্ছে 'ক্যাপিটাল মেশিনারিজ'-এর এবং কাঁচামালের পেছনে। আর সেগুলো ব্যবহূত হচ্ছে আমাদের শিল্প খাতে।

কাজেই আমদানি হওয়া ওই মেশিনারিজ ও কাঁচামাল শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার কথা। পরিসংখ্যানও তাই বলছে। বিবিএসের পরিসংখ্যান বলছে, আমাদের বৃহৎ শিল্পের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০.৬১ শতাংশ। কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রবৃদ্ধি ১৩.৮৯ শতাংশ। আনুষ্ঠানিক অর্থায়নের গতি না বাড়া সত্ত্বেও এমএসএমই খাত নিজের চেষ্টাতেই এই সাফল্য দেখিয়েছে। প্রণোদনাসহ ব্যাংকিং খাতের প্রচলিত অর্থায়নের গতি যদি এদের দিকে আরও প্রসারিত করা যেত, তাহলে প্রবৃদ্ধির হার নিশ্চিতভাবেই আরও বেশি হতো।

কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রবৃদ্ধি আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। আমাদেরও তেমনটিই প্রত্যাশা ছিল। তাই প্রণোদনা বাস্তবায়নে নীতিনির্ধারকদের কাছে বারবার এ শিল্পগুলোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। তারা শেষ পর্যন্ত আমাদের অনুরোধের প্রতি বেশ খানিকটা সংবেদনশীল ছিলেন বলেই মনে হচ্ছে।

বিশেষ করে প্রণোদনার দ্বিতীয় ধাপে এসএমই খাতসহ পুরো শিল্প খাতের উল্লেখযোগ্য মাত্রায় প্রবৃদ্ধির ফলে দেশজ বাজারে ভোগের জন্য পণ্য ও সেবা সরবরাহ করা গেছে। এতে জিডিপি বেড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছর শেষে তা ৪১৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে তা ছিল ৪১১ বিলিয়ন ডলার। আবার রপ্তানিও চলমান রাখা গেছে। আর তার ফলে আমদানি-রপ্তানির ব্যবধান নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে। নিঃসন্দেহে বাণিজ্য ভারসাম্য চাপের মুখে পড়েছে। কিন্তু বিলাস পণ্যের আমদানি কমানো গেলে এবং উৎপাদনশীল উপকরণের আমদানি বাড়ানো গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।

আলাদা করে বলা দরকার কৃষির কথা। যদিও ২০১৯-২০ থেকে ২০২০-২১-এ প্রবৃদ্ধি ২.৩৭ শতাংশ থেকে ৩.১৭ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু এর ইতিবাচক প্রভাব আরও গভীরতর। করোনা মহামারির মধ্যে কৃষি দেশের বিপুল জনসংখ্যার জন্য যেমন খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করেছে, একই সঙ্গে মানুষের কর্মসংস্থানও নিশ্চিত করেছে। এমনকি মহামারির চাপে শহর থেকে গ্রামে ফেরা মানুষের কাজের সুযোগও করে দিয়েছে এই কৃষি খাতই।

জিডিপির প্রবৃদ্ধি কম বা বেশি হলো কতটা- সেটি নিয়ে আলাপ আমাদের উন্নয়ন ভাবনার ক্ষেত্রে অতটা প্রাসঙ্গিক অন্তত এই মুহূর্তে নয়। বরং এই উন্নয়ন কতটা অন্তর্ভুক্তিমূলক হলো, ঝুঁকি থেকে মানুষকে কতটা নিরাপদ রাখল, কতটা কর্মসংস্থান হলো এবং সর্বোপরি কতটা টেকসই হলো- সেগুলো নিয়েই আলাপ করা বেশি প্রাসঙ্গিক। আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা নিয়ে বিতর্কের আসলেই কোনো সুযোগ নেই। বরং এই অগ্রযাত্রা কতটা টেকসই ও পরিবেশবান্ধব করা যায়, সেটাই এখন ভাবার বিষয়। সম্প্রতি 'জ্বালানি, জলবায়ু ও টেকসই উন্নয়ন' শিরোনামের একটি জাতীয় সম্মেলনে অধ্যাপক রেহমান সোবহান যথার্থই বলেছেন- 'দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বেশি বলা হচ্ছে, কিন্তু পরিবেশের ক্ষতি ও সামাজিক ন্যায়বিচারের বিষয় সামনে আসছে না।'

একেবারে যে আসছে না, সে কথা বলাও ঠিক হবে না। গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে উপস্থাপিত 'মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা'য় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কয়লাভিত্তিক কিছু জ্বালানি প্রকল্প বন্ধ করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের প্রসার, হাইড্রোজেন-হাব তৈরির মতো সুদূরপ্রসারী পরিবেশবান্ধব সবুজ প্রবৃদ্ধির নীতি-কৌশলের কথাও কিন্তু বলেছেন। পাশাপাশি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: একুশের চেতনা ও দেশাত্মবোধ

উল্লেখ্য, টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদি জাতীয় পথনকশা হিসেবে ইতোমধ্যেই হাজির করা হয়েছে 'বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০', এবং সে অনুসারেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে জীবনের গড় আয়ু, প্রাথমিক শিক্ষা ও মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ফলে আমাদের মানব উন্নয়ন সূচকের অগ্রগতি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। নারীর ক্ষমতায়ন সূচকেও আমরা এশিয়ায় সেরা। তাই শুধু জিডিপির প্রবৃদ্ধি নয়, বিশেষজ্ঞদের চাওয়া মতো সম্পূরক মানবিক ও টেকসই উন্নয়ন সূচকেও বাংলাদেশ বেশ ভালো করছে। নিশ্চয়ই করোনার কারণে আমাদের জীবন ও জীবিকার চ্যালেঞ্জ বেড়েছে। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও অন্যান্য সম্পূরক সূচকের সম্মিলিত সাফল্য অস্বীকার করার উপায় সত্যি আছে কি?

ড. আতিউর রহমান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।

সাননিউজ/এমএসএ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

ভূঞাপুরে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

খায়রুল খন্দকার, টাঙ্গাইল: প্রচণ্ড তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ট। নেই...

শহীদ শেখ জামাল’র জন্ম

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অত...

রাতের আঁধারে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়

কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর):

মুন্সীগঞ্জে সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন

মো. নাজির হোসেন, মুন্সিগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ভূমি অফি...

লক্ষ্মীপুরে চলছে ৫ ইউনিয়নে ভোট

সোলাইমান ইসলাম নিশান, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি...

ইরফান খান’র প্রয়াণ

সান নিউজ ডেস্ক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের স...

বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ২

জেলা প্রতিনিধি : কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও...

রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর খিলগাঁওয়ে রেল গেট এলাকায় ট্রেনের...

টিপু-প্রীতি হত্যা মামলার বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহ...

লেকে শিশু পড়ে যাওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর মহাখালীতে লেকে পড়ে এক শিশু নিখোঁজ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা