নিজস্ব প্রতিবেদক : জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেছেন, করোনা নিয়ে সরকারের ভেতরে আমি অস্থিরতা লক্ষ্য করছি। গত কয়েকদিনে লকডাউন- শাটডাউন নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি এবং তা ঘনঘন সংশোধন করা হচ্ছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অদলবদল করা এসব বক্তব্য বিবৃতির মধ্য দিয়ে অস্থিরতা প্রকাশ পাচ্ছে। প্রজ্ঞাপনে পরস্পরবিরোধী বক্তব্যও রয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে এটা বাঞ্ছনীয় নয়।
সোমবার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। এ সময় করোনা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতারও অভিযোগ তোলেন সাবেক এ মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য স্বাস্থ্যসহ নয়টি মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত। এই মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জান হাতে নিয়ে কাজ করছেন। তাদের গত নয় মাসে নির্ধারিত কোনো দৈনিক ভাতা দেয়া হয়নি। আমি জানি তাদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। তাদের প্রণোদনা দেয়া দরকার। একই সঙ্গে নীতিমালা পরিবর্তন করে চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের ঝুঁকিভাতা-প্রণোদনা দেয়া উচিত।
টিকার কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে জাসদ সভাপতি বলেন, সর্বোচ্চ টিকা কূটনীতি প্রয়োগ করে টিকা সংগ্রহ করতে হবে। দেশের ভেতরে টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ২০২২ সালের মধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আমি মনে করি টিকাই মানুষকে বাঁচাবে।
তিনি বলেন, করোনায় মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বাড়েছে। শহরেই নয়, জেলা-উপজেলা শহরেও সংক্রমণ ঘটেছে। ঘরে ঘরে অনেক অসুস্থ। জেলা-উপজেলায় রোগীর জন্য বেড পাওয়া যায় না। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার চলছে। সরকারও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত এবং উদ্বিগ্ন।
ইনু বলেন, সংক্রমণ বিস্তার রোধে লকডাউন এবং শাটডাউনের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু অভিজ্ঞতা বলে, দুই-তিন দিনের মধ্যে খাদ্যের জন্য সাধারণ মানুষের হাহাকার শুরু হয়। সঙ্কট দেখা দেয়। অপরদিকে সংক্রমিত ব্যক্তির জন্য বেড, অক্সিজেনের চাহিদা ও আইসিইউর জন্য দৌড়াদৌড়ি। এক্ষেত্রে জেলা-উপজেলার হাসপাতালের অবিলম্বে কিছু বেড বাড়ানো উচিত।
তিনি আরও বলেন, আইসিইউ হয়ত বাড়ানো যাবে না। কিন্তু হাইফ্লো নাজাল ক্যানুলা, অক্সিজেন সিলিন্ডার, পোর্টেবল অক্সিজেন যোগাড়ের সুযোগ রয়েছে। আমার দাবি থাকবে একটা রোগীও যেন হাসপাতাল থেকে ফিরে না যায় সে চেষ্টা করতে কবে।
সাননিউজ/এমএইচ