জেলা প্রতিনিধি: দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বাড়লেও রাত থেকে কমতে শুরু করেছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে নীলফামারীর তিস্তা পাড়ের মানুষের।
আরও পড়ুন : রূপপুরে পারমাণবিক জ্বালানি হস্তান্তর আজ
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১. ৪৭ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার স্বাভাবিক (৫২. ১৫সেঃমিঃ) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বুধবার সকাল থেকে পানি বাড়তে শুরু করলে বিকেল ৪ টায় তিস্তার পানি ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার ও সন্ধ্যা ৬ টায় ২০ সেন্টিমিটা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
রাত ৭- ৮ টায় পানি বেড়ে ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও রাত ৯ টায় পানি কমে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর রাত ১০টা থেকে তিস্তার পানি প্রবাহ কমতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন : দুই আসনে উপনির্বাচন ৫ নভেম্বর
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ডালিয়া পয়েন্টের পানি আগামী ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত হ্রাস পেয়ে পরবর্তীতে পুনরায় বৃদ্ধি পেতে পারে।
ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেছেন, বুধবার সকাল থেকে সারাদিন তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা অনেক আতঙ্কে ছিলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরে আলম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বুধবার সকাল থেকেই সতর্কতা জারি করে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনও করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির সংবাদ পাওয়া যায়নি। রাতে তিস্তার পানি কমতে শুরু করায় বৃদ্ধির আশঙ্কা কমে গেছে। উপজেলা প্রশাসন বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে।
আরও পড়ুন : ব্রাজিলের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াবে
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, উজানে ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তাসহ আশপাশের নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল বর্তমান পানি কমতে শুরু করছে। তবে পানি আবার বৃদ্ধি পেতে পারে।
নিম্নাঞ্চলের মানুষকে মাইকিং করে সতর্কতা জারি করে নিরাপদস্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে।
সান নিউজ/এমএ