নিজস্ব প্রতিনিধি (ফরিদপুর): ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এক সন্তানের জননীকে যৌতুকের জন্য এবং দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করায় স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে আলফাডাঙ্গা পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কুসুমদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
জানা যায়, আলফাডাঙ্গা পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের কুসুমদি গ্রামের রাজ্জাক মোল্লার ছেলে রিপন মোল্যার (২৪) সাথে একই উপজেলার বানা ইউনিয়নের বেলবানা গ্রামের আত্তাব বিশ্বাসের মেয়ে খাদিজার (১৯) বিয়ের পর থেকে রিপন যৌতুকের দাবি করে আসছিল। বিভিন্ন সময় সেসব দাবি পূরণ করা হলেও সম্প্রতি রিপন বিবাহিত অপার এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া করে বিয়ে করেছেন। এর প্রতিবাদ করায় রিপন তার স্ত্রী খাদিজাকে বৃহস্পতিবার নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন করেন। আহত খাদিজাকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মার্চ) সরেজমিনে গেলে হাসপাতালের বেডে শয্যাশায়ী খাদিজা জানান, তিন বছর আগে রিপন মোল্লার সাথে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রিপন ও তার মা-বাবা যৌতুকের দাবি করে আসছিলেন। মেয়ের সুখের কথা ভেবে খাদিজার মা-বাবা বিভিন্ন দফায় ধার দেনা করে এবং গরু ছাগল বিক্রি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার দেন। কিন্তু রিপন বিভিন্ন কৌশলে টাকা নেয়ার জন্য তাকে চাপ দেন, টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি বিভিন্ন সময় তাকে মারধর করতেন। এনিয়ে একবার স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসাও হয়। মীমাংসার কিছুদিন পরেই আবার যৌতুক চেয়ে টাকার জন্য চাপ দেন।
খাদিজা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, চাহিদামতো টাকা না দেয়ায়, আমার স্বামী মধুনগর গ্রামের রমজান মোল্লার মেয়ে অন্তরার সাথে পরকীয়া করে বিয়ে করে। অন্তরার এর আগেও দুইবার বিয়ে হয়েছিল। মোবাইলে আপত্তিকর ছবি দেখে প্রতিবাদ করায় আমার ওপর পরিবারের সবাই মিলে শারীরিক নির্যাতন করে। প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে আমার ১০ মাসের বাচ্চাকে নিয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে রমজান মোল্লার মুঠোফোনে বার বার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে আলফাডাঙ্গা থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
সান নিউজ/কেএস/এসএস