জেলা প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরব ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মাঝামাঝি এলাকায় মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: জিম্মি জাহাজে বিধ্বংসী অস্ত্র বসানো হয়েছে
শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে তাদেরকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক এনামুল হক বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে ৩ জন এবং ভৈরব থেকে ১ জন ডুবুরি উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন৷ এখন পর্যন্ত কারো মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নিখোঁজদের মরদেহ উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ডুবুরি দলের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত বেড়ে ৪
গতকাল ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছিল, এ ঘটনায় ৬ জন নিখোঁজ আছে। তবে আজ স্বজনদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ ঘটনায় আরও ২ জনসহ মোট ৮ জন নিখোঁজ আছেন।
ঘটনাস্থলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা নদীর পাড়ে অপেক্ষারত নিখোঁজদের স্বজনরা আহাজারি করছেন। প্রিয় মানুষটিকে কখন উদ্ধার করা হবে, সে অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তারা।
আরও পড়ুন: চকবাজারে জুতার কারখানায় আগুন
নিখোঁজ নরসিংদী মডেল কলেজের শিক্ষার্থী আনিকা আক্তারের মামা লুৎফুর রহমান জানান, শুক্রবার (২২ মার্চ) ভৈরবে খালার বাড়িতে বেড়াতে আসেন আনিকা।
সেখান থেকে বান্ধবী রুবাকে সঙ্গে নিয়ে সে নৌকায় ঘুরতে গিয়েছিল। পরে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার উল্টে গেলে রুবা সাঁতার কেটে তীরে উঠতে পারলেও আনিকা ডুবে যায়।
নিখোঁজ আনিকার বাড়ি নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দড়িকান্দি এলাকায়। এখন পর্যন্ত আনিকা বা অন্য কারো মরদেহ উদ্ধার করতে পারেনি ডুবুরিরা।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর
ভৈরব নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর কেএম মনিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাল্কহেডে থাকা ২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ বাল্কহেডটিই দুর্ঘটনার জন্য দায়ি কিনা, তা যাচাইয়ের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভৈরব বাজার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ভৈরব থেকে প্রায় ২০ জন যাত্রী নিয়ে একটি ডিজেল ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের চরসোনারামপুর এলাকায় যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ট্রলারটি ডুবে যায়৷
আরও পড়ুন: ৩ বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস
আশুগঞ্জ-ভৈরব রেলসেতুর ৩ নম্বর পিলারের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় সুবর্ণা নামের একজন নারী নিহত হন। দুর্ঘটনার পর ১২ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ৮ জন নিখোঁজ হন।
নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন- ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানা (৩২), তার স্ত্রী মৌসুমি আক্তার (২৫), শিশু কন্যা মাহমুদা (৭) ও ছেলে রাইসুলসহ (৫) আরও ৪ জন।
সান নিউজ/এনজে