নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে মহামারী করেনায় অধিকাংশ কুরবানির পশুর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হাট বসেছে। করোনার প্রভাবে অনেক লোক যারা প্রতি বছর কুরবারী দিয়ে আসছে আর্থিক সমস্যায় এ বছর কুরবানী দিতে পারছেন না। শনিবার পর্যন্ত পশু বেচা কেনার হাট জমে উঠেনি।
বিক্রেতা বলছেন রবি সোমবার থেকে মূলত হাট জমতে শুরু করবে। আর মূলত ঈদের ২/১ পূর্বেই হাটে উপচে পড়া ভীড় থাকবে। শনিবার বিকেলে শহরের একমাত্র পশু বিক্রির হাটে গিয়ে দেখা গেছে কিছু সংখ্যক গরু আসতে শুরু করেছে। স্থানীয় পশুর সংখ্যা কম হওয়ায় চিতলমারী থেকে আসা গরুর সংখ্যাই বেশী। দামও বেশী পাবেন বলে জানিয়েছেন পাইকাররা।
চাহিদার তুলনায় গরুর সংখ্যা কম না, চাহিদা অনুযায়ী গরু হাটে নিয়ে আসা হবে বলে আরও জানান। অপর দিকে ক্রেতারা বলছেন গত বছরের তুলনায় এ বছর ১০ ভাগ দাম বেশী রয়েছে।
গরুর হাটে ইসলামী ব্যাংক থেকে জাল টাকা ধরার মেশিন বসানো হয়েছে। পুলিশ, আনসার সদস্যরা সার্বক্ষনিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। র্যাব সদস্যরা হাটে হাটে টহল দিচ্ছে।
চিতলমারি থেকে ঝালকাঠির বিকনা গরুর হাটে আসা পাইকার মাহবুব শেখ জানান, তিনি প্রথম ১৩টি গরু এনেছেন। আরও বেশ কিছু গরু পথে রয়েছে। চাহিদার বাড়লে গরুর সংখ্যাও বাড়বে। করোনার মধ্যেও স্থানীয় গরুর সংখ্যা কম থাকায় এ বছর গরুর দাম ভাল পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তিনি। বিকনা গরুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি আব্দুল হাই বলেন, গরু বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়া হবে। ২.৫ শতাংশ টাকা খাজনা নেওয়া হয়।
ঝালকাঠি সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের ভেটেনারী সার্জন ডা. মো. সরোয়ার হাসান বলেন, জেলার প্রতিটি হাটে তাদের টীম রয়েছে। কোন পশুর কোন সমস্যা হলেই তাদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।
সাননিউজ/জেআই