আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম ইসরায়েলিরা স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জার পাশাপাশি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে হাসপাতালেও। এতে করে গাজার শিশুরা গুরুতর মাত্রায় অপুষ্টির শিকার হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭ জিম্মি
ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস জানিয়েছেন পরিস্থিতি এতোটাই অমানবিক যে, গাজার উত্তরাঞ্চলের শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য জানিয়েছে।
টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস জানিয়েছেন, গত বছরের অক্টোবরে সংঘাত শুরুর পর থেকে এই সপ্তাহান্তে প্রথমবারের মতো আল-আওদা এবং কামাল আদওয়ান হাসপাতাল পরিদর্শন করে তার সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: দাবানলে পুড়ছে টেক্সাস
টেড্রোস বলেছেন, খাবারের অভাবের ফলে ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং গাজার শিশুরা ‘গুরুতর মাত্রায় অপুষ্টির’ শিকার হয়েছে। হাসপাতাল ভবনগুলোও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। গাজার এই অঞ্চলে আনুমানিক ৩ লাখ মানুষ খুবই অল্প খাদ্য বা বিশুদ্ধ পানি নিয়ে বসবাস করছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে জাতিসংঘ গত সপ্তাহে বলেছিল, গাজায় দুর্ভিক্ষ ‘প্রায় অনিবার্য’। জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, গাজা উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ - যা ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ - বিপর্যয়কর মাত্রার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছেন এবং গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীদের গুলি, নিহত ৪
জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের আঞ্চলিক পরিচালক বলেন, ‘আমরা যে শিশু মৃত্যুর আশঙ্কা করছিলাম তা এখানে বিদ্যমান রয়েছে। অপুষ্টি গাজা উপত্যকাকে ধ্বংস করছে।’
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানান, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৫৩৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭১ হাজার ৯৮০ জন।
সান নিউজ/এএন