লাইফস্টাইল ডেস্ক : শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে ঠোঁট ফেটে কখনো কখনো রক্তও বের হয়। শীতকাল ছাড়াও গরমের দিনে নানা কারণে ঠোঁট ফাটতে পারে।
আরও পড়ুন : তাপপ্রবাহ থাকতে পারে ৬ দিন
গরমকালে অনেক সময় সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ঠোঁটের ত্বক শুকনো হয়ে যায়। ফলেই ঠোঁট ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া শরীরে পানির ঘাটতি পড়লেও ঠোঁট ফাটে।
ঠোঁট ফাটা রোধের উপায়-
আরও পড়ুন : হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক শুরু
(১) ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে নারিকেল তেলের উপাদানবিশিষ্ট ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
(২) প্রচন্ড গরমে ঘাম থেকে পানি বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরে পানির অভাব দেখা দেয়। তাই গ্রীষ্মকালে অল্পেই ডিহাইড্রেশনের শিকার হতে হয়। ডিহাইড্রেশনের কারণে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। এতে ঠোঁট ফাটতে থাকে। শরীর ও ঠোঁট হাইড্রেট রাখতে সারা দিনে প্রচুর পানি পান করুন।
আরও পড়ুন : মঙ্গল শোভাযাত্রা নিয়ে থানায় জিডি
(৩) কথায় কথায় জিভ দিয়ে ঠোঁট চাটবেন না। এতে ঠোঁট আরও বেশি রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। শুষ্ক, খসখসে ভাব অনুভব করলে লিপ বাম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা উচিত।
(৪) সূর্যের আলো থেকে মুখ ও ঠোঁটকে বাঁচাতে টুপি ব্যবহার করুন।
আরও পড়ুন : চিনি আমদানি করছে সরকার
(৫) অতিরিক্ত মসলাদার খাবার খাওয়া ঠোঁটের অবস্থা খারাপ করে তুলতে পারে। এতে ঠোঁট ফাটতে পারে। তাই যতটা সম্ভব এসব খাবার এড়িয়ে চলুন।
(৬) গ্রীষ্মকালে অনেকেই বেশিরভাগ সময় এয়ারকন্ডিশন রুমে কাটান। এসির ঠাণ্ডা বাতাসে আর্দ্রতা একেবারেই থাকে না। এসির শুকনো বাতাস আমাদের ত্বক থেকেও স্বাভাবিক আর্দ্রতা শুষে নেয়। একটানা এসির ঠাণ্ডা হাওয়ায় থাকলে হাত, পা, মুখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। তাই বাতাসে আর্দ্রতা ফেরাতে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন, যা শুষ্কতা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
সান নিউজ/এনজে