আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কানাডার টরন্টো শহরে দীর্ঘ দিনের মেয়র পদত্যাগ করায় নতুন মেয়র নির্বাচনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। পরবর্তী মেয়র কে হবেন তা জানতে শিগগির ভোট দিতে চলেছেন ভোটাররা।
আরও পড়ুন : আসামে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ৩
এ প্রতিযোগিতায় রেকর্ড সংখ্যক ১০২ জন প্রার্থীর মধ্যে মলি নামে একটি কুকুরও রয়েছে।
উলফ-হাস্কি জাতের কুকুরটির মালিক টবি হিপস শীতের সময় শহরের রাস্তায় ‘লবণ হামলা বন্ধ’ করার প্রতিশ্রুতিতে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছেন।
আরও পড়ুন : এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশসহ নিহত ২
হিপসের বলেন, শীতের সময় রাস্তায় লবণের অত্যাধিক ব্যবহার কোমল পায়ের কুকুরদের জন্য ক্ষতিকর। নির্বাচনের প্রচারাভিযানে আবাসন ব্যয় বৃদ্ধির সমাধান, বিলিয়ন ডলার ব্যবসার ওপর ট্যাক্স বাড়ানো এবং নতুন বাড়ি ও বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে জীবাশ্ম-জ্বালানি নির্ভর হিটিং সিস্টেমের ওপর নিষেধাজ্ঞার আশ্বাসও দেওয়া হচ্ছে।
হিপস জানান, তিনি যদি নির্বাচনে জেতেন, তাহলে মলিকে টরন্টোর প্রথম সাম্মানিক কুকুর মেয়র হিসেবে মনোনীত করবেন।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গে ফের ট্রেন দুর্ঘটনা
রুমের ভেতর একটি জন্তু থাকলে সিটি হল আরও ভালো সিদ্ধান্ত নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২৫ বছর আগে ৭ টি পৌরসভা মিলে কথিত ‘মেগা-সিটি’ গঠনের পর টরন্টোর ইতিহাসে এটি প্রথম উপ-নির্বাচন। গত ৮ বছর মেয়র পদে থাকা জন টরির পদত্যাগের পর এ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে তিনি টরন্টোর মেয়র পদে ছিলেন।
আরও পড়ুন : পদ্মা সেতু অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দিগন্ত
নানা সমালোচনা সত্ত্বেও ৩ বার নির্বাচনে জিতেছেন তিনি। সবশেষ জিতেছিলেন ২০২২ সালের অক্টোবরে। সে সময় ডজনখানেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলেও টরি জিতবেন, তা প্রায় নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু কয়েকমাস পরেই কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
গত ফেব্রুয়ারিতে টরন্টো স্টার পত্রিকা জানায়, ৬৮ বছর বয়সী বিবাহিত মেয়র করোনা মহামারির সময় ৩১ বছর বয়সী এক সহকর্মীর সাথে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এ খবর প্রকাশের কয়েকদিন পরেই পদত্যাগ করেন টরি।
আরও পড়ুন : যশোরের ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইমেরিটাস অধ্যাপক নেলসন উইজম্যান বলেন, এবারের নির্বাচনে মাঠ পুরোপুরি উন্মুক্ত। গতবার আর এবারের মধ্যে পার্থক্য হলো- আমরা জানি না কে জিতবেন। টরন্টোয় মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। মাত্র ২৫০ কানাডিয়ান ডলার (প্রায় ২০ হাজার টাকা) এবং ২৫ জন বাসিন্দার স্বাক্ষর থাকলেই টরন্টোর যেকোনো নাগরিক মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
উত্তর আমেরিকার অন্য বড় শহরগুলোর মতো এখানে প্রার্থীদের কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনয়নও প্রয়োজন পড়ে না।
আরও পড়ুন : জাতিসংঘের নীতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সিটিজের পরিচালক ক্যারেন চ্যাপল বলেন, মাঠ উন্মুক্ত থাকায় কেউ কেউ শুধু জিততে পারেন কি না দেখতেই নির্বাচনে নেমেছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২৬ জুন প্রায় ৩০ লাখ বাসিন্দার শহরটিতে ইতিহাসে প্রথম উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সূত্র: বিবিসি।
সান নিউজ/এনজে