স্পোর্টস ডেস্ক: ইংল্যান্ড নিজেদের দীর্ঘ ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে। গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা এই রেকর্ড গড়লো ডেনমার্ককে কাঁদিয়ে।
সামর্থ্যের সবটা উজাড় করে দিয়েও ডেনমার্কের হার ঠেকাতে পারলেন না গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেল। বরং ড্যানিশদের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় করে ফাইনালে উঠল ইংল্যান্ড।
ফাইনালে হ্যারি কেনদের প্রতিপক্ষ ইতালি। বুধবার (৭ জুলাই) ওয়েম্বলিতে অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ইউরোর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ২-১ গোলে জিতেছে ইংল্যান্ড।
ম্যাচের মূল নায়ক হতে পারতেন আসলে ডেনমার্কের গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মাইকেল। অসংখ্য শট নিয়েও নির্ধারিত সময়ে তাকে পরাস্ত করতে পারেনি ইংলিশরা। বরং অসীম বীরত্ব দেখিয়ে একের পর এক আক্রমণ প্রতিহত করেন তিনি। এমনকি অতিরিক্ত সময়ে ঠেকিয়ে দেন হ্যারি কেনের নেওয়া স্পটকিকও। তবে ফিরতি শটে সেই কেনই শেষ করেন ক্যাসপারের প্রতিরোধ। অথচ এর আগে একাই প্রায় ৯টি নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে হিরো হওয়ার পথেই ছিলেন ড্যানিশ গোলরক্ষক।
২৫ মিনিটের মাথায় ইংল্যান্ডের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন ড্যামসগার্ড। ডান পায়ের শটে বল টার্গেটে রাখতে পারেননি তিনি। ৩০তম মিনিটে দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে গোল করে ডেনমার্ককে এগিয়ে দেন ড্যামসগার্ড। চলতি ইউরোয় এই প্রথম গোল হজম করে ইংল্যান্ড। তবে খুব বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি ডেনমার্ক। ৩৯ মিনিটের মাথায় ড্যানিশ ডিফেন্ডার সাইমন জায়েরের আত্মঘাতী গোলে ইংল্যান্ড ম্যাচে ১-১ সমতা ফেরায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ইংলিশদের বেশকিছু আক্রমণ প্রতিহত হয় ড্যানিশদের রক্ষণে। এর মধ্যে ৫৫ মিনিটের মাথায় হ্যারি মাগুইরের আক্রমণ ডান দিকে ঝাঁপিয়ে প্রতিহত করেন ড্যানিশ গোলরক্ষক ক্যাসপার স্মিকেল। এর কিছুক্ষণ পর ফের মাগুইর ডেনমার্কের জালে বল জড়ানোর চেষ্টা করেন। যদিও বল মাঠের বাইরে চলে যায়। ৬৪ মিনিটের মাথায় মাউন্টের আক্রমণ প্রতিহত করেন ক্যাসপার। ৭৩তম মিনিটে মাউন্টের ক্রস জালে জড়ানো থেকে আটকান ড্যানিশ গোলকিপার।
নির্ধারিত সময়ের শেষদিকে চাপ বাড়ায় ইংল্যান্ড। ১০২তম মিনিটে নিজেদের বক্সে স্টার্লিংকে ফাউল করে বসেন মাহলে। রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি উপহার দেন ইংল্যান্ডকে। কিন্তু কেনের শট ঠেকিয়ে দেন ক্যাসপার। তবে ফিরতি শটে বল জালে জড়ান ইংলিশ অধিনায়ক। সেই সঙ্গে বড় টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের হয়ে সবথেকে বেশি গোল করার ক্ষেত্রে গ্যারি লিনেকারকে ছুঁয়ে ফেললেন কেন।
সান নিউজ/এমআর