কুমিল্লা প্রতিনিধি : এক হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ই-অরেঞ্জের মালিক, সিইও এবং উপদেষ্টাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার (২৯ আগস্ট) কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মো. সাইফুল খাঁন (৩৭) নামে এক ভূক্তভোগী কুমিল্লার ৩৯ জন গ্রাহকের পক্ষে এ মামলা করেন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহাজাবিন, উপদেষ্টা মাসুকুর রহমান, সিইও আমানুল্লাহ, বিথী আক্তার, কাওসারকে আসামি করা হয়। মামলায় ই-অরেঞ্জের অজ্ঞাত পরিচয়ের অন্য মালিকদেরও আসামি করা হয়।
বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিলের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে পণ্য ক্রয় করার জন্য ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করে গ্রাহকরা। গত ১৫ মে থেকে নির্দিষ্ট সময়ের পরও তারা গ্রাহকদের কোন পণ্য সরবরাহ করেনি। এর পর থেকে ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহে আশ্বস্ত করে তারা নানাভাবে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের চেষ্টায় রয়েছে। তারা পণ্য সরবরাহ না করে প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১ হাজার ১শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। এই টাকার মধ্যে ই-অরেঞ্জ কুমিল্লার ৩৯ জন গ্রাহকের প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাত করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদি সাইফুল খাঁন, গ্রাহক মনজুর আহমেদ ও শরীফুল আলম জানান, ই-অরেঞ্জের সঙ্গে ই-কমার্স ব্যবসা করতে গিয়ে ৩৯ জন গ্রাহকের কেউ পৈত্রিক সম্পত্তি বন্ধক, বিক্রি ও ধার-দেনা করে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন। ই-অরেঞ্জের প্রতারণায় লাখ লাখ টাকা হারানোর ভয়ে কুমিল্লার ৩৯ জনসহ সারাদেশের গ্রাহকরা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। দ্রুত বিনিয়োগকৃত টাকা বা পণ্য ফিরে পেতে তারা এ মামলা করেন বলে জানান।
সন্ধ্যায় মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ এফ মজুমদার নোমান জানান, প্রতারণার মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে পিবিআই-কুমিল্লাকে আগামী ১১ নভেম্বরের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের হাতে কুমিল্লার ৩৯ জন ব্যক্তি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাদের প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাত করে ওই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান।
সাননিউজ/এমআর