নিজস্ব প্রতিবেদক : পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে বোমা ও বন্দুক হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন : নেতানিয়াহুকে সরে যেতে হবে
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভোট শুরু হওয়ার সাথে সাথে দেশজুড়ে বিভিন্ন সড়কে ও ভোট কেন্দ্রে হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়। একই সঙ্গে ইরান ও আফগানিস্তানের সাথে পাকিস্তানের সীমান্ত সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘‘দেশে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি।’’
আরও পড়ুন : বাগদাদে মার্কিন হামলায় নিহত ৩
ভোটে বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে দেশটির খাইবারপাখতুনখোয়া প্রদেশে। সেখানকার ডেরা ইসমাইল খান জেলা পুলিশের প্রধান রউফ কায়সরানি বলেন, সকালে উত্তর-পশ্চিমের ডেরা ইসমাইল খান জেলার কুলাচি এলাকায় পুলিশি টহল গাড়ি লক্ষ্য করে চালানো বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণে চার পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
পৃথক এক ঘটনায় ডেরা ইসমাইল খানের উত্তরে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়িতে বন্দুকধারীরা গুলি চালিয়েছে। এতে পুলিশের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। মাকরান বিভাগের কমিশনার সাইদ আহমেদ উমরানি রয়টার্সকে জানান, বালুচিস্তানের বিভিন্ন অংশেও গ্রেনেড হামলার খবর পাওয়া গেছে। তবে সেখানে কোনও হতাহতের ঘটনা না ঘটায় ভোটগ্রহণে প্রভাব পড়েনি।
আরও পড়ুন : নতুন সরকার নির্বাচনে পাকিস্তানে ভোট শুরু
এ ছাড়া উত্তর ওয়াজিরিস্তানের কিছু ভোট কেন্দ্র তালেবানের জঙ্গিরা দখলে নিয়েছে বলে সেখানকার প্রার্থীরা জানিয়েছেন। দেশটির উত্তরপশ্চিমাঞ্চলের এই এলাকার নির্বাচনী প্রার্থী মহসিন দাওয়ার পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) কাছে লেখা চিঠিতে বলেছেন, তার নির্বাচনী এলাকার কিছু ভোটকেন্দ্র স্থানীয় তালেবান জঙ্গিরা দখলে নিয়েছে; যারা ভোটার ও স্থানীয়দের ভোটের আগে থেকেই হুমকি দিয়ে আসছিল।
সান নিউজ/এমআর