নিনা আফরিন,পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে ফেলা দেওয়া হয় শিশু লামিয়ার মরদেহ। এক সপ্তাহ পর সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার।
আরও পড়ুন : ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল ২ জনের
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, দুপুরে সোনারচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে মোহনায় জেলেরা ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন : ইজতেমায় ৬ মুসল্লির মৃত্যু
গত শুক্রবার রাতে রাঙ্গাবালীর চরআন্ডা গ্রামে ধর্ষণ শেষে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এগারো বছরের শিশু লামিয়াকে। পরে লাশ গুম করতে ফেলা হয় বুড়াগৌড়াঙ্গ নদীতে। পরদিন এ ঘটনায় অভিযুক্ত আল-আমিনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ।
পরে ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনার দায় স্বীকার করে গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আল আমিন।
আরও পড়ুন : টিউবওয়েলে উঠছে গ্যাস, জ্বলছে আগুন
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার জানান, শিশু লামিয়াকে ধর্ষণ এবং হত্যার পর লাশ গুম করতে নদীতে ভাসিয়ে দেয় আল আমিন। এ ঘটনার আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে সে।
ঘটনার পর থেকে লাশ উদ্ধারের জন্য কাজ করেছে পুলিশ। অবশেষে সোনারচর এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
সান নিউজ/এইচএন