আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার ঘটনার জেরে ইরাক ও সিরিয়ায় কমপক্ষে ৮৫টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: মার্কিন হামলায় ১৮ ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত
হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ চায় না। তবে কোনো মার্কিন নাগরিকের ক্ষতি করলে তার জবাব অবশ্যই দেওয়া হবে।
বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, গত রোববার জর্ডানে আইআরজিসি সমর্থিত গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় প্রাণ হারান ৩ মার্কিন সৈন্য। সকালে আমি ডোভার এয়ারফোর্স বেসে সেসব সৈন্যের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে অংশ নিয়েছিলাম এবং তাদের প্রত্যেকের পরিবারের সাথে কথা বলেছি।
বিকেলে আমার নির্দেশনায় ইরাক ও সিরিয়ায় একাধিক স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন সামরিক বাহিনী। এগুলো আইআরজিসি ও তাদের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর কাজে ব্যবহার করতো।
আরও পড়ুন: মার্কিন হামলায় ১৮ ইরানপন্থি যোদ্ধা নিহত
আজ আমাদের প্রতিক্রিয়া দেখানো শুরু হলো। এটি আমাদের পছন্দমতো সময় ও স্থান অনুযায়ী অব্যাহত থাকবে। মধ্য প্রাচ্য বা বিশ্বের অন্য কোথাও সংঘাত চায় না যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু যারা আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে তাদের সবাই জানুক, আপনি যদি কোনো মার্কিন নাগরিকের ক্ষতি করেন, তাহলে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাবো।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে এইউএএবি’র সংবর্ধনা
এদিকে ইরাক-সিরিয়ায় ইরানি লক্ষ্যবস্তুতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিষয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া বা আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি তেহরান। ধারণা করা হচ্ছে, এসব হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে তারা।
গত বুধবার যেকোনো হামলার চূড়ান্ত জবাব দেওয়ার জন্য ইরান প্রস্তুত বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আইআরজিসির প্রধান হুসাইন সালামি।
উল্লেক্র, ২০২০ সালে ইরাকের রাজাধানী বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ইরাকে মার্কিন ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইরান।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে অভিযানে ২৪ সন্ত্রাসী নিহত
এরপর গত রোববার জর্ডানে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ৩ সৈন্য নিহতসহ আরও ৪০ জনের বেশি আহত হন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর মধ্য প্রাচ্য অঞ্চলে মার্কিন বাহিনীর ওপর এটিই প্রথম প্রাণঘাতী হামলার ঘটনা।
ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যানস’ নামে ইরাকের একটি প্রতিরোধ গোষ্ঠী। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এর পেছনে ইরানের হাত ছিল।
হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, এ মুহূর্তে ইরানের সাথে সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: রয়টার্স, এনডিটিভি
সান নিউজ/এনজে