মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: আগামী ২৫ জুন চলাচলে উদ্বোধন হচ্ছে পদ্মা সেতু। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেওয়ার আগ মুহূর্তে পদ্মা নদী তীরবর্তী মুন্সীগঞ্জ জেলায় বইছে আনন্দ উল্লাস। সেতু নিয়ে উচ্ছ্বসিত পদ্মা পাড়ের মানুষ। অনেকেই আবার নদীর পাড়ে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপ কে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।
মুন্সীগঞ্জ- শরীয়তপুরের জাজিরা সংযোগ অংশে পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যে সেতুটি চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সঙ্গে সড়কপথে রাজধানীর সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। এছাড়াও মুন্সীগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সড়ক অবকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
গেলো ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে পদ্মা সেতুর ৩৭- ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর প্রথম সেতুর স্প্যান বসানো হয়। সেতু নির্মাণে মোট খরচ করা হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা।
মুন্সীগঞ্জ সদর থেকে প্রাইভেট কারে পদ্মা পাড়ে ঘুরতে আসা কালাম হোসেন বলেন , পদ্মা সেতু দেখে মনটা জুড়িয়ে যায়। কাজের ফাঁকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়ানোর মজাই আলাদা। আমরা শুনেছি আগামী ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, আমরা যেন সুন্দরভাবে উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারি। এপারে একটি সবুজে ঘেরা পার্ক নির্মণা করলে অনেক সুন্দর হবে।
চাকরিজীবী আজহারুল ইসলাম বলেন- আমি এখন পুরাতন ঢাকায় বাসা ভাড়া করে থাকছি। ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালু হলে, আর ঢাকায় থাকবো না। প্রতিদিন বাড়ি গাড়ি করে, ঢাকায় এসে অফিস করতে পারবো।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন,পদ্মা সেতু চালু হলে আমরা খুব দক্ষিণের জেলাগুলোতে যাতায়াত করতে পারবো। বিশেষ করে খুলনা বিভাগের সাথে ঢাকা বিভাগের মালামাল আনা নেয়ার আর কোন সমস্যা থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। তার সাহসিকতায় আজ দেশের এতো বড় একটা সেতু হলো।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, সেতুর অবশিষ্ট কাজের মধ্যে রোড মার্কিং ও সেতুকে আলোকিত করতে বসানো ৪১৫ টি ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ চলছে। শুরু হয়েছে সেতুর দুই সাইডের রেলিং বসানোর কাজ।
প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, চলতি মাসে শেষ হবে রোড মার্কিংয়ের কাজ। আর পহেলা জুনে সেতু আলোকিত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ এগোচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ এগোলে নির্ধারিত সময়েই জ্বলে উঠবে বাতিগুলো।
সান নিউজ/এনকে