সান নিউজ ডেস্ক: দেশে হু হু করে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বিগত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এক সপ্তাহে ৪০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২০০ টাকা ছুঁয়েছে।
আরও পড়ুন: লাইটার জাহাজের ভাড়া বাড়ল
ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। প্রথমবারের মতো ফার্মের মুরগির এক ডজন ডিমের দাম ১৪৫ টাকায় উঠেছে। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। তবে কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমেছে।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ২০০ টাকা। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ী ১৯০ টাকা কেজিও বিক্রি করছেন। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা।
এদিকে সবজি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। কাঁচা মরিচের কেজি ২০০-২২০ টাকা। গত সপ্তাহের ১২০ টাকা কেজির চায়না গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। আর দেশি গাজর ছিলো ৮০ টাকা, আজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
আরও পড়ুন: তেলের মূল্যবৃদ্ধির নেপথ্যে যুদ্ধ
ঢেড়শের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৪-১৫ টাকা। গত সপ্তাহে ঢেড়শের কেজি ছিলো ২৫-২৬ টাকা, আজ পাইকারি বাজারে ৩৫ টাকায় কেজি এনে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৯০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৬০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
গত সপ্তাহে খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। আর আজ বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়। বোতলজাত সরিষার তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়।
সান নিউজ/এনকে