মানচিত্র থেকে হারাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
জাতীয়
তিস্তার ভয়াবহ ভাঙন

মানচিত্র থেকে হারাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম

সান নিউজ ডেস্ক : বিগত কয়েক দিন ধরে কুড়িগ্রাম জেলায় বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীতে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। এ সময় ৬ টি বাড়ি ভেঙেছে। হুমকিতে রয়েছে আরো ৭০-৮০টি বাড়ি। অসময়ে তিস্তার ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ।

আরও পড়ুন : পাকিস্তানের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ

জানা যায়, কুড়িগ্রামের ৩টি উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে গেছে সর্বগ্রাসী তিস্তা। প্রায় ৪০ কিলোমিটারব্যাপী এই নদীটির ভাঙন কবলিত বাম তীরে মাত্র ৫ কিলোমিটার জায়গা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাকি ৩৫ কিলোমিটার উন্মুক্ত নদীর অনেক জায়গায় শুরু হয়েছে ভাঙন।

ইউএনবি এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে, গত ৩ দিনে বৃষ্টির ফলে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বিঘার পর বিঘা বোরো ধান, ফলদ ও কাঠের গাছসহ ভেঙে যাচ্ছে বিল্ডিং বাড়ি। এখন হুমকিতে রয়েছে প্রায় ৭০ থেকে ৮০টি পরিবার।

এদিকে বিগত কয়েক বছর ধরে তিস্তার ভয়াবহ আগ্রাসনে রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা, মন্দির, ডাংরারহাট, রামহরি, পাড়ামৌলা ও গাবুর হালান গ্রামের একাংশ নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে।

আরও পড়ুন : সংকট আরও গভীর শ্রীলঙ্কায়

মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। বসতভিটা ও জমি হারিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই না পেয়ে বুক ফাঁটা কান্নায় ভারি হয়ে আসছে এখানকার আকাশ-বাতাস। নদী ভাঙনের হুমকিতে থাকা মানুষ এখন জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

রাজারহাটের ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াসাম মন্ডলপাড়া গ্রামের মৃত শরাফত মাস্টারের ছেলে মোস্তাক আহমেদ (৫৬) হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘গতবার নদী বাড়িভিটা সউগ (সব) খায়া (খেয়ে) গেইল (ফেলছে)।

হালের গরু বিক্রি করি নতুন বাড়ি করনু (করছি)। এবারো ভাঙবের নাগছে (লাগছে)। কামলা দিয়া খাং। এই বাড়ী গেইলে (গেলে) করিম কি। মোর পকেটোত বিষ খাওয়ার মত টেকা নাই।

আরও পড়ুন : ধর্ষণ আইন সংশোধনে হাইকোর্টের রুল

অত্র ইউনিয়নের গতিয়াসাম এলাকার সাবেক মেম্বার শহিদুল ইসলাম জানান, বর্ষা আসার আগেই হঠাৎ করে ভাঙন বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি, গাছপালাসহ আধাপাকা বোরো ধান ক্ষেত। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক, ৮টি মসজিদ ও একটি মাদরাসাসহ শত শত বিঘা আবাদী জমি।

তিনি বলেন, বর্তমানে এই ইউনিয়নে গতিয়াসাম, রামহরি, কালিরহাট ও মেদনীপুর গ্রামে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে সহায়তা চেয়েও পাওয়া যায়নি। তারা বলছে, এই মুহূর্তে তাদের কাছে কোনো বাজেট নেই।

ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল কুদ্দুছ প্রামাণিক জানান, আমার ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড চরম হুমকিতে রয়েছে। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে গিয়েছি। তাদের কোনো বাজেট নেই বলে তারা জানিয়েছে।

আরও পড়ুন : বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ আমাদের ভাঙনকবলিত পরিবারগুলোকে বাঁচান। না হলে আমরা বিশাল ক্ষতিগ্রস্ত হবো।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হঠাৎ বৃষ্টির ফলে তিস্তায় অরক্ষিত এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। সমীক্ষা প্রকল্প অনুমোদন করা হলেও এখনো প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সান নিউজ/এইচএন

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

দুপুরের মধ্যে ১০ জেলায় ঝড়ের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীসহ দেশের ১০টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্ট...

ভোলায় উপকূলজুড়ে কোস্টগার্ড মোতায়েন  

ভোলা প্রতিনিধি: আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা...

সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু কাল 

নিনা আফরিন, পটুয়াখালী: আগামীকাল...

নজর কাড়লেন কিয়ারা

বিনোদন ডেস্ক: কান চলচ্চিত্র উৎসব...

রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

সান নিউজ ডেস্ক: প্রতি সপ্তাহের একেক দিন বন্ধ থাকে রাজধান...

রাইসির মৃত্যুতে আমরা জড়িত নই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ...

নোয়াখালীতে মদসহ ২ যুবক গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি: নোয়াখালীতে ৯৬ বোতল বিদেশি মদসহ ২ যুবককে গ্র...

ট্রেনের ধাক্কায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু 

জেলা প্রতিনিধি: নাটোরে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় মো...

কাল ইভিএমে ২৪ উপজেলায় ভোট

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামীকাল উপজেলা পরিষদের ২য় ধাপের সাধারণ নি...

বাজার মনিটরিংয়ের নির্দেশ 

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজার মনিটরিংয়ে জ...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা