বিনোদন ডেস্ক: বাংলা চলচ্চিত্রের মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। তৎকালীন বৃহত্তর পাবনার (বর্তমান সিরাজগঞ্জ) বেলকুচি উপজেলার সেন ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামে ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল জন্ম নেন সুচিত্রা সেন।
আরও পড়ুন: পরিণীতির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার গুঞ্জন
শনিবার (৬ এপ্রিল) সুচিত্রা সেনের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী। তিনি জন্মসূত্রে বাংলাদেশি। উপমহাদেশের বাংলা চলচ্চিত্রের এ কালজয়ী নায়িকার বাবার বাড়ি পাবনা জেলার গোপালপুর হেমসাগর লেনে। তিনি এখানকার মহাকালি পাঠশালায় এবং পাবনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।
সুচিত্রা সেনের বাবা করুনাময় দাশগুপ্ত পাবনা মিউনিসিপ্যালিটির স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে চাকরি করতেন। মা ইন্দিরা দাশগুপ্ত ছিলেন গৃহিনী। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের কয়েক মাস আগে তার বাবা পাবনার বাড়ি-ঘর, চাকরি সবকিছু ফেলে সপরিবারে ভারত পাড়ি জমান। সুচিত্রা সেনও পরিবারের সাথে চলে যান।
আরও পড়ুন: মুক্তির ২য় দিনে ক্রু’র আয় কত?
তার পারবারিক নাম ছিল রমা দাশগুপ্ত। সিনেমায় অভিনয় শুরুর পর নাম হয় সুচিত্রা সেন। ১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায়’ নামের একটি বাংলা সিনেমায় তিনি প্রথম অভিনয় করেন। অজ্ঞাত কারণে সিনেমাটি মুক্তি পায়নি।
এরপর ১৯৫৩ সালে নায়িকা হয়ে তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘সাত নম্বর কয়েদি’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। ১৯৫৩-১৯৭৮ সাল পর্যন্ত ৩৫ বছর সুচিত্রা সেন একটানা বাংলা সিনেমায় অভিনয় করেন।
আরও পড়ুন: মেজাজ হারালেন সারা
সুচিত্রা সেন ৫৬টি বাংলা ও ৭টি হিন্দি মিলিয়ে মোট ৬৩টি সিনেমায় নায়িকা হয়ে অভিনয় করেছেন। উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি হয়ে ব্যাপক আলোড়ন তোলেন তিনি। ১৯৭৮ সালে উত্তম কুমার মারা গেলে সিনেমায় অভিনয় বন্ধ করে দেন এই অভিনেত্রী।
তিনিই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন। ভারত সরকারও তাকে পদ্মশ্রী সম্মান প্রদান করেন। ২০০৫ সালে তাকে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব রাখলে তিনি জনসমক্ষে আসতে চাননি বলে তা গ্রহণ করেননি।
২০১২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণ দেয়া হয়। ১৯৫৫ সালে তিনি দেবদাস সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি ভারতে এ কিংবদন্তি শিল্পীর মৃত্যু হয়।
সান নিউজ/এসএম/এমআর