নিজস্ব প্রতিনিধি, গাজীপুর: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বোনের ওয়ারিশের জমি আত্মসাত করতে ভাড়াটে খুনি দিয়ে খুন করে ভাগিনাকে খুনের মামলায় মামা নিজেই ফেঁসে গেছেন। ভাড়াটে খুনি গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে স্বেচ্চায় প্রদত্ত জবানবন্ধিতে খুনের চাঞ্চল্যকর এমন ঘটনা প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে গাজীপুর জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার সালুয়াটেকি এলাকার বহুল আলোচিত ইদ্রিস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই গাজীপুর। এ ঘটনায় জড়িত ভাড়াটে খুনিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আসামী মো: দুখু মিয়া ওরফে সুমন (২২)। সে গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার টোক ইউনিয়নের শহরটোক গ্রামের মো: লিটন মিয়ার ছেলে। নিহতের নাম ইদ্রিস (৩০)। তিনি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া থানার টোক ইউনিয়নের সালয়াটেকি গ্রামের পিতা- মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
তিনি আরো জানান, এক বছর আগে ২০২০ সালের ২৫ আগস্ট সকালে ইদ্রিসের মৃতদেহ সালুয়াটেকি সাকিনস্থ সৈয়দ জহির আহসান জাহিদের নানার বাড়ীর দক্ষিণ পাশে পুকুর পাড়ে গলায় ধারালো অস্ত্র দ্বারা গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে এ ঘটনায় ইদ্রিসের মা মোর্শেদা বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় এজাহারনামীয় ১০ জন ও অজ্ঞাতনামা ০৩/০৪ জন আসামির বিরুদ্ধে কাপাসিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান, আসামি সুমনকে ২৫ আগস্ট বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে উক্ত আসামি নিজেকে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অপর আসামিদের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। পরে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলাটি পিবিআই গাজীপুরকে তদন্তের জন্য প্রেরণ করার পর পিবিআই গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমানের সহযোগীতায় মামলাটির তদন্ত করেন পুলিশ পরিদর্শক মো.হাফিজুর রহমান।
সাননিউজ/ জেআই