সান নিউজ ডেস্ক: তারকা ফুটবলার হিসেবে নেইমার জুনিয়রকে বেছে নিয়েছেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি কাকা। তার মতে, আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে নেইমারের ওপর থেকে চাপ অনেকটাই কমে যাবে। ফলে নেতা হিসেবে আবির্ভুত হবেন নেইমার।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের প্রিয় খেলোয়াড় বাছাই করার সময় দ্বিতীয়বার ভাবেননি কাকা। সরাসরি নেইমারের নামই বলেছেন। ২০১৮ বিশ্বকাপে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও, এবার এক ঝাঁক তরুণ প্রতিভা নিয়ে নেইমার ব্রাজিলকে এগিয়ে নেবেন বলে মনে করেন কাকা।
তিনি বলেছেন, আমি জানি না এটি ব্যক্তিগত গভীর সম্পর্কের কারণে কী না... তবে আমি নেইমারের খেলার ধরন অনেক ভালোবাসি। অবশ্যই কাইলিয়ান এমবাপে, লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর খেলা দেখতেও ভালো লাগে। তবে প্রিয় হিসেবে নেইমারের কথাই বলবো।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের কষ্টার্জিত জয়
আসন্ন বিশ্বকাপে দলের নেতা হবেন নেইমার, এমন কথা জানিয়ে কাকা বলেন, ‘কাতার বিশ্বকাপ ব্রাজিলের নেতা হতে চলেছে নেইমার। তবে তার সঙ্গে যেনো ভিনিসিয়াসের মতো খেলোয়াড়রা থাকে এটিও নিশ্চিত করতে হবে।’
কাকা আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে নেইমার একাই ছিল স্বপ্নসারথি। তবে এবার আমাদের ভিনি, রাফিনহা, রিচার্লিসন, অ্যান্টনিরা আছে। যারা শুধু সম্ভাবনাময় নয়, বাস্তব প্রতিভাবান। এতে নেইমারের ওপর চাপ কমবে। যা আমাদের দলের জন্য ভালো।’
এ সময় ব্রাজিলের আরেক রদ্রিগোর প্রশংসায় তিনি বলেন, ‘রদ্রিগো অসাধারণ। ব্রাজিলে এখনও নিশ্চয়ই আলোচনা চলছে তাকে বিশ্বকাপে নেওয়া হবে কি না। তবে আমি নিশ্চিত সে অগ্রাধিকার পাবে। আমি নিজেও ২০ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলেছি। আর রদ্রিগো এখন রীতিমতো তারকা খেলোয়াড়।’
আরও পড়ুন: ইরানে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল
প্রসঙ্গত, কাকা ব্রাজিলীয় ফুটবল দলের মধ্যমাঠের খেলোয়াড় এবং বর্তমানে তিনি অরল্যান্ডো সিটি সকার ক্লাবে খেলেন।
তিনি আট বছর বয়সে একটি স্থানীয় ক্লাবের হয়ে তার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন। সে সময়ে তিনি টেনিসও খেলতেন এবং পনেরো বছর বয়সে সাও পাওলো এফ সির সাথে পেশাদারী চুক্তি করার পরই তিনি ফুটবল খেলাকে ক্যারিয়ার হিসাবে বেছে নেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। ২০০৩ সালে তিনি €৮.৫ মিলিয়নে ট্রান্সফার ফির বিনিময়ে এ সি মিলানে যোগদান করেন এবং মিলানে অবস্থানকালেই তিনি বালোঁ দর এবং ২০০৭ সালের ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অফ দ্য ইয়ার পুরস্কার লাভ করেন।
মিলানের হয়ে এই সাফল্যের পর ২০০৯ সালে ট্রান্সফার ফির তৃতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড €৬৫ মিলিয়নের বিনিময়ে রিয়াল মাদ্রিদ ফুটবল ক্লাবে যোগ দেন। খেলাধুলার পাশাপাশি তিনি তার মানবসেবামূলক কাজের জন্যেও পরিচিত। ২০০৪ সালে তিনি সর্বকনিষ্ঠ মানুষ হিসাবে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির দূত হিসেবে মনোনীত হন।
খেলাধূলার পাশাপাশি তিনি তার মানবসেবামূলক কাজে অবদান রাখায় ২০০৮ ও ২০০৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় টাইম ১০০ তে জায়গা করে নেন। তিনি প্রথম অ্যাথলেট, যার টুইটার এ ফলোয়ার এর সংখ্যা ১০ মিলিয়নের চেয়ে বেশি।
সান নিউজ/এনকে