মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ : ঈদ ঘিরে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বাঘিয়াবাজারে দেশীয় ও ভারতীয় আতশবাজি ও পটকা বিক্রির ধুম পড়েছে। সেখানকার দু’টি দোকানে প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে কয়েক লাখ টাকার আতশবাজি ও পটকা।
আরও পড়ুন : ঈদে মানুষের কাছে যাওয়ার নির্দেশ
বুধবার সকালে সরেজমিনে ঘুরে দোকান দু’টিতে আতশবাজি কিনতে আসা শিশু-কিশোরদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়েছে। দেখা গেছে ক্রেতাদের অধিকাংশের বয়স ১২ থেকে ১৫ বছর। তবে সেখানকার বিক্রেতারা শিশু-কিশোরদের কাছে আতশবাজি বিক্রির কথা অস্বীকার করেছেন।
এদিকে, বাঘিয়া বাজার থেকে জেলা সদর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে আতশবাজি। আবার নিষিদ্ধ থাকার পরও প্রকাশ্যে বিক্রি করে যাচ্ছে। জানা গেছে, একই মালিকের দু’টি দোকান।
আরও পড়ুন : বেইজিংয়ে আগুনে নিহত বেড়ে ২৯
বিদেশী আতশবাজির নামে শব্দ দুষন, শব্দ আতংক জনজীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। বাঘিয়া বাজার থেকে মুন্সীগঞ্জের দক্ষিনের কয়েকটি জেলার ব্যবসায়ীরা ভারতীয় আতশবাজি পাইকারী দরে কিনে নিয়ে যান।
এই বিষয়ে বাঘিয়া বাজারে গেলে দেখা মিলে বাজারের ব্রীজের দক্ষিনের দু’টি দোকানে সকাল ৮ টা থেকে গভীর রাত পযর্ন্ত চলে বেচাকেনা। ওই দু’টি দোকানের মালিক থানা পুলিশকে সুবিধা দিয়ে ঈদ উপলক্ষে কয়েক কোটি টাকার আতশবাজি ও পটকা বিক্রি করে থাকেন।
আরও পড়ুন : ঢাকায় কড়া নিরাপত্তা থাকবে
আতশবাজি বিক্রেতা আলমগীর হোসেন মৃধা বলেন, এই আতশবাজি কোম্পানি ইন্ডিয়ান পণ্য কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জে আসে। পণ্যগুলো ইন্ডিয়া থেকে বগুড়া হয়ে মুন্সীগঞ্জে আসে। আমরা শুধু টাকা পাঠিয়ে দেই। ঈদ বা পুজোতে আমরা বসে বসেই ব্যবসা করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, বর্ডারে আমাদের যেতে হয় না। পুলিশ কি আপনাদের সমস্যা করে- এমন প্রশ্নের উত্তরে আলমগীর হোসেন মৃধা বলেন এটা ম্যানেজ করেই করতে হয়।
আরও পড়ুন : বিশ্বের জনবহুল দেশ ভারত
টঙ্গীবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রাজিব খান বলেন, লাইন্সেস থাকলে বিক্রি করতে পারবে। লাইসেন্স না থাকলে পারবে না। তবে এই ধরনের কেনাবেচার বিষয় থাকলে আমাদের তথ্য দিলে বিষয়টি দেখবো।
সান নিউজ/এমআর