মো. নাজির হোসেন (মুন্সীগঞ্জ) : মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার চারিগাঁও গ্রামে সুদের টাকা জন্য এক দম্পতির বসতঘর সহ ঘরে থাকা আসবাবপত্র লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: আহ্বায়ক কমিটিতে সজীব ওয়াজেদ জয়
ঘটনায় সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) ওই দম্পতির দিপা বেগম বাদী হয়ে আদালতে এজাহার দায়ের করেছেন।
মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালত-৬ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইফতি হাসান ইমরান মামলাটি আমলে নিয়ে (সিআইডি) তদন্তে দিয়েছে। বিষয়টি ঐ আদালতের পেশকার রুবেল মিয়া নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানাগেছে, লৌহজং উপজেলার চারিগাঁও গ্রামের আওলাদ হোসেন দম্পতি বিগত ৭ মাস আগে একই গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে মানিক হাওলাদারের কাছ হতে ৮০ হাজার টাকা সুদে নিয়েছিলেন। সুদে টাকা নেওয়ার সময় সুদের ৮ হাজার টাকা প্রতিমাসে পরিশোধ এবং মূল টাকা নেওয়ার ৩ মাস আগে আওলাদ হোসেনকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে অবহিত করার কথা ছিল। সেই মোতাবেক আওলাদ হোসেন নিয়মিত সুদের টাকা পরিশোধ করে আসছিলেন।
কিন্তু বিগত প্রায় ২ মাস আগে মানিক হাওলাদার ১ মাসের মধ্যে সুদসহ সব টাকা একসাথে আওলাদের কাছে ফেরত চায় । সে সময় কথা অনুযায়ী ৩ মাসের মধ্যে আওলাদ টাকা পরিশোধের কথা বলিলে মানিক তাকে ১ মাসের মধ্যে সমস্ত টাকা পরিশোধ করতে হবে না হলে তার বাড়িঘর ভেঙ্গে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিয়া চলে যায়।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন
পরে, বিগত ১২ই জানুয়ারী মানিক তার দলীয় লোকজন নিয়ে আওলাদ হোসেনের বসত ঘরসহ ঘরে থাকা সবই লুটপাট করে নিয়ে যায়। সে সময় আওলাদ হোসেন ও তার স্ত্রী দিপা বেগম বাধা দিলে তাদের মারধর করা হয়।
পরে দির্ঘদিন এলাকায় ঘুরে প্রভাবশালী মানিকের বিরুদ্ধে বিচার না পেয়ে আদালতে এসে দিপা বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ সময় তার স্বামী আওলাদ হোসেনও আদালতে হাজির ছিলেন।
এ ব্যাপারে আওলাদ হোসেন বলেন, মানিক হাওলাদার লোকজন নিয়ে আমার টিন ও কাঠের ঘর এবং ঘরে থাকা সমস্ত আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এমনকি আমার পাকা গোসলখানা ভাংচুর করে ইট খুলে নিয়ে গেছে। সাথে আমার টিউবওয়েল। সে আমার কাছে মাত্র ৮০ হাজার টাকা পায়। অথচ সে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
মামলার বাদী দিপা বেগম বলেন, আমাদের ঘরতো নিছেই। ঘরে যা ছিল সবই নিছে। এমনকি আমার ছেলে মেয়ের পড়ার টেবিল বই খাতা পর্যন্ত মানিক হাওলাদার ও তার লোকজন আমার থেকে নিয়ে গেছে। এলাকায় বিচার না পেয়ে আদালতে এসে মানিক হাওলাদার ও সালাম সেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি। আমি বিচার চাই।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ যুবক গ্রেফতার
এ ব্যাপারে সুদের পাওনা টাকার বিষয়টি স্বীকার করে মানিক হাওলদার বলেন, আমি আওলাদের কাছে ৮৫ হাজার টাকা পাই। টাকা না দেওয়ায় আমি নিজে ঘর ভাঙ্গিনি ওর চাচা ঘর ভেঙে আমাকে দিয়ে দিয়েছে।
সান নিউজ/এসআই