আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকাডুবে অন্তত ১৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও প্রায় ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে দাবানল, নিহত বেড়ে ৫৩
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা।
শওয়ে ইয়াং মেট্রো ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বায়ার লা বলছেন, গত সপ্তাহের শেষের দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যের বুথিডং শহর ত্যাগ করার সময় ঐ নৌকাটিতে প্রায় ৫৫ জন রোহিঙ্গা ছিলেন।
রাখাইন রাজ্যের রাজধানী সিটওয়ের কাছে সাগরে ঐ দুর্ঘটনায় থেকে ৮ জন প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: চীনে ভয়াবহ বন্যা, নিহত ২৯
তিনি বলেন, নৌকাটি মালয়েশিয়ার দিকে যাচ্ছিল। নৌকটি ঠিক কয়টার সময় ও কী কারণে ডুবে যায়, তা এখনো জানা যায়নি।
বায়ার লা আরও বলেন, সোমবার (৭ আগস্ট) থেকে বুধবারের (৯ আগস্ট) মধ্যে রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ৩৩৫ কিলোমিটার (২০৮ মাইল) পশ্চিমে সিটওয়ের উপকূল থেকে ১০ জন নারীর লাশসহ মোট ১৭ জনের লাশ উদ্ধার করা গেছে।
আরও পড়ুন: ভূমিকম্পে কাঁপল জাপান
যে ৮ জন প্রাণে বেঁচে যান, তাদেরকে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী ধরে নিয়ে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা এবং কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান অব্যাহত রেখেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রাখাইন রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল হ্লা থেইন ফোনে বলেন, সোমবার থেকে উপকূলে যে লাশ পাওয়া গেছে, তার সঠিক সংখ্যা এবং অন্যান্য বিবরণ এখনও জানা যায়নি। আমি শুধু শুনেছি, নৌকাটি অবৈধভাবে ছেড়ে যায় এবং পরে বঙ্গোপসাগরে ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে হত্যা
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতিত হয়ে আসছে।
২০১৭ সালের আগস্টে একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার জবাবে সেনাবাহিনী সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নির্মূল অভিযান শুরু করার পর থেকে ৭ লাখেরও বেশি মানুষ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরে চলে আসে।
আরও পড়ুন: পিছিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের নির্বাচন!
অবশ্য মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্মূল অভিযানে গণধর্ষণ ও হত্যা এবং সংখ্যালঘুদের হাজার হাজার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার সামরিক বাহিনীর এ অভিযানকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা।
সান নিউজ/এনজে