নিজস্ব প্রতিবেদক: গুলশানের ফু ওয়াং বারের বড় ফাঁকি উদঘাটন করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি ৪১.০৮ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। তদন্তে নেমে এই তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা।
জানা গেছে, ফু ওয়াং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লাইসেন্স নিয়ে বারে মদ, মদ জাতীয় দ্রব্য বিক্রয় ও রেস্টুরেন্টে খাবারের সেবা দিয়ে আসছে। ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর থেকে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানানো হয়।
অধিদপ্তরের তিন সদস্যের একটি দল এই তদন্ত শেষ করেন। দলের নেতৃত্বে ছিলেন উপ-পরিচালক ফেরদৌসী মাহবুব।
ভ্যাট ফাঁকির ঘটনায় ফু ওয়াং বোলিং অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর। বারটির মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং অপরাধ অনুসন্ধান করতে ভ্যাট গোয়েন্দা চিঠি দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দাকে।
অধিপ্তর জানিয়েছে, অনুসন্ধানে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হতে সিএ রিপোর্ট ও সংশ্লিষ্ট ভ্যাট সার্কেল অফিস থেকে মূসক সংক্রান্ত দলিলাদি সংগ্রহ করা হয়। সেসব দলিলাদি আড়াআড়ি যাচাই করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, ফু ওয়াং বার বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকির সাথে জড়িত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বারটিতে ব্যবহার করা মদজাতীয় পণ্য সংগ্রহ ও বিক্রয়ে বড় অনিয়ম ঘটেছে। এ ব্যাপারে ব্যাপকভাবে তথ্য সংগ্রহের জন্য শুল্ক গোয়েন্দাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে উদঘাটন হওয়া মূসকের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানকে বক্তব্য প্রদানের জন্য কয়েক দফায় সময় দেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেয়নি। প্রতিষ্ঠানটিতে একাধিকবার এ সংক্রান্ত নোটিশ ইস্যু করলেও চাহিদা মোতাবেক দলিলাদি জমা থেকে বিরত ছিল। নিজের প্রতিশ্রুত সময়সীমা নিজেই ভঙ্গ করে এবং শুধুমাত্র সময় প্রার্থনা করে তদন্তে কালক্ষেপণ করে।
এছাড়া তদন্ত দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি উৎসে কর্তন খাতে কোনও ভ্যাট পরিশোধ করেনি। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রদেয় ভ্যাটের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার ২৩১ টাকা। পূর্বে কোনো ভ্যাট পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটির নিকট হতে অপরিশোধিত ভ্যাট বাবদ ২ কোটি ৩৮ লাখ ৩৩ হাজার ২৩১ টাকা আদায়যোগ্য। উৎসে কর্তন বাবদ এই ফাঁকির ওপর ভ্যাট আইন অনুসারে মাস ভিত্তিক ২% হারে সুদ টাকা প্রযোজ্য।
স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার বিপরীতে অপরিশোধিত মূসকের পরিমাণ ৪৩ লাখ ১১ হাজার ৫৮ টাকা উৎঘাটন করা হয়।
সাননিউজ/এমআর