ফয়সল চৌধুরী, হবিগঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করায় খুশি চা শ্রমিকরা। তাই টানা ১৮ দিন চলা আন্দোলন প্র্রত্যাহার করে ছুটির দিনেও কাজে যোগ দিয়েছেন কিছু শ্রমিক। অনেক শ্রমিক ছুটির দিনে কাজে না গিয়ে আনন্দ উল্লাস করছেন। এসময় শ্রমিকদের মুখে মুখে ‘জয় নৌকা জয় শেখ হাসিনা’ ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগান শোনা যায়।
আরও পড়ুন: বিএনপি জোটে নেই জামায়াত
রোববার (২৮ আগস্ট) সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও মজুরি পরিশোধের শর্তে কাজে যোগ দিয়েছেন তারা। এর আগে শনিবার (২৭ আগস্ট) রাতে চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। শ্রমিকরা এতে খুশি। আজ যেহেতু রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ তাই নগদ মজুরি পরিশোধে তারা কাজে যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে হুমকি
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগান, লস্করপুর চা বাগান, লালচাঁন্দ চা বাগান, চাঁনপুর চা বাগানে শ্রমিকরা নেচে গেয়ে আনন্দ উল্লাস করছে। এসময় শ্রমিকদের মুখে মুখে ‘জয় নৌকা জয় শেখ হাসিনা’ শ্লোগান। এছাড়াও বাউল সম্রাট আব্দুল করিমের একটি গান বেশি শুনা যায় ‘কোন মেস্তুরী নাও বানাইলো কেমন দেখা যায় ঝিলমিল ঝিলমিল করেরে মইয়ূ পঙ্খী নাও।’
দাড়াগাঁও চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি প্রেমলাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশি হয়েছি। তিনি আমাদের অভিভাবক। তিনি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা আমরা মেনে নিয়েছি।
আরও পড়ুন: আমি ভুল কাজ করছি (ভিডিও)
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকার দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে চার দিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি করেন চা শ্রমিকরা। এরপর তারা ১৩ আগস্ট থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেন। এর মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও তা সমাধান হয়নি। এরপর তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিক্ষোভ শুরু করেন।
২০ আগস্ট বৈঠকে মজুরি ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হলে নেতারা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন। তবে শ্রমিকরা এ মজুরি মানেন না জানিয়ে ফের আন্দোলনে নামেন। কয়েক দফা বৈঠকের পর শেষ পর্যন্ত ২২ আগস্ট তাদের একাংশ কাজে যোগ দিলেও ২৩ আগস্ট ফের আন্দোলন শুরু করেন। সর্বশেষ শনিবার বিকেলে গণভবনে বাগান মালিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক বসে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এতে খুশি হয়েছেন শ্রমিকরাও।
সান নিউজ/কেএমএল