জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে চলে গেলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বীর প্রতীক বীর মুক্তিযুদ্ধা সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল ও বীর প্রতীক বীর মুক্তিযুদ্ধা মতিউর রহমান। আজ রোববার দুই বীর প্রতীক মৃত্যবরন করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আরও পড়ুন : কারাগারে হাজী সেলিম
রোববার (২২ মে) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বীর প্রতীক সৈয়দ সদরুজ্জামান হেলাল জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া বীর প্রতীক মতিউর রহমান একই দিন দুপুরে বকশিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জানা গেছে, সাহেববাড়ি গ্রামের বাবা সৈয়দ বদরুজ্জামান ও মা সৈয়দা খোদেজা জামানের সন্তান সদরুজ্জামান ১৯৫০ সালের ৩১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সময় তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের জামালপুর মহকুমা শাখার জ্যৈষ্ঠ সভাপতি ছিলেন।
তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরে কোম্পানি কমান্ডার ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক।
আরও পড়ুন : মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বাইডেন
বার্ধক্যজনিত কারনে শারীরিক অসুস্থতায় সম্প্রতি তাকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সুনামের সাথে দুরমুঠ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সেলিম মিঞা বলেন, তিনি আজ সকালে মারা যান। আজ বিকাল পাঁচটায় জামালপুরে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে আগামীকাল সোমবার নিজ দুরমুঠে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : সিলেটে বিশুদ্ধ পানির সংকট
অপরদিকে বীর প্রতীক মতিউর রহমান ধানুয়া গ্রামের মরহুম তসলিমউদ্দীন সরকার ও সখিনা বেগম দম্পতির সন্তান। তিনি ১১ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন। পারিবারিক জীবনে তিনি এক ছেলে ও তিন মেয়ের জনক।
এ বিষয়ে বকশিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনমুন জাহান বলেন, তিনি প্যারালাইজড ছিলেন। আগামীকাল সোমবার সকাল ৯ টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জানাযা শেষে তার নিজ বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
জামালপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার সুজাত আলী তাঁদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, উভয়ের মৃত্যুতে জেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের হারিয়ে আমরা দুইজন অভিভাবক হারালাম। মুক্তিযুদ্ধে তাদের বীরত্ব গাঁথা অবদান জাতি সারাজীবন মনে রাখবে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এইচএন