আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ৫০ জন বন্দির বিনিময়ে হামাসের দেয়া গাজায় ৪ দিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: চুক্তির দ্বারপ্রান্তে হামাস-ইসরায়েল
বুধবার (২২ নভেম্বর) ইসরায়েলি সরকারের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। হামাসের প্রস্তাবে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ ছিল। তবে বিবৃতিতে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা হয়নি।
সরকারি সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় ৫০ জন বন্দির বিনিময়ে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি উত্থাপন করার পর সভার অধিকাংশ সদস্যই সেটির পক্ষে সমর্থন জানান।
তবে কখন থেকে এ যুদ্ধবিরতি শুরু হবে এবং বন্দিদের হস্তান্তর প্রক্রিয়া কোন স্থানে ঘটবে, সে ব্যাপারে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি। ইসরায়েলের সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, যে ৫০ জন বন্দির মুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে, তাদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা, নিহত ১
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকার স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস।
এ সময় তারা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্ত বেড়া ভেঙে ইসরায়েলে প্রবেশ করে নির্বিচারে সামরিক-বেসামরিক লোকজনকে হত্যা করে এবং ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় ধরে নিয়ে যায়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে রয়েছেন- যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা।
হামাসের এ হামলার জবাবে ঐ দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে স্থলবাহিনীও অভিযানে যোগ দেয়।
এদিকে ইসরায়েলের অভিযানে গাজায় নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১২০০ জন নিহত হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: শরণার্থী শিবিরে হামলায় নিহত ১৭
হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড যুদ্ধের শুরুর দিকে জানিয়েছিল, তাদের জিম্মায় প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলি রয়েছে। পরে তারা ঘোষণা করে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় বেশ কয়েক জন জিম্মি নিহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৯৫৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর এই প্রথমবার মধ্য প্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে এতো বড় মাত্রার যুদ্ধ হচ্ছে।
প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়িত হলে, তা হবে এ যুদ্ধের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট। সূত্র: সিএনএন, দ্য ন্যাশনাল
সান নিউজ/এনজে