স্টাফ রিপোর্টার : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জামিন পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস।
আরও পড়ুন : বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে আপত্তি নেই
সোমবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্ত হন।
কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেল সুপার বলেন, আদালত থেকে জামিনের নথি অফিসিয়ালি আমাদের কাছে পৌঁছেছে। সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে তিনি কারাগার থেকে বের হয়েছেন।
এদিন দুপুরে শামসুজ্জামানকে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালত। জামিন আদেশ শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন না দেওয়া পর্যন্ত শামসুজ্জামানকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ফ্রান্স বাংলাদেশের বিশ্বস্ত অংশীদার
মুক্তির পর শামস বলেন, আজকে জামিনে মুক্তি পেয়েছি। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। এখন ভালো লাগছে। অফিস থেকে শুরু করে সাংবাদিক সমাজ, দেশের মানুষ, যারা বাইরে ছিল, ক্যাম্পাসের ছোট ভাই, বাইরের সব মানুষ পাশে ছিলেন- সেটা আমাকে শক্তি, সাহস, আনন্দ দিয়েছে।
সারা বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ কারণ তারা আমার পাশে ছিলেন। আমার ভয়েসটা বাইরে থেকে মানুষের মধ্যে পেয়েছি। মানুষই বলেছে। তাদের বলার কারণেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে। তার কারণেই মুক্তি পেয়েছি। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
সবাই আন্তরিক ছিলেন। সবাই খুব পজিটিভলি সমস্যাগুলো হ্যান্ডেল করেছেন। সিআইডি অফিস থেকে শুরু করে কারাগার পর্যন্ত প্রত্যেকটা জায়গায় খুব ইতিবাচক মনোভাব পেয়েছি। তারা খোঁজখবর নিয়েছেন। আমার কোনও সমস্যা বা প্রয়োজন আছে কি না। আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ।
আরও পড়ুন : একক ভর্তি পরীক্ষায় আপত্তি নেই
এরআগে গত ২৯ মার্চ রাতে রমনা থানায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান ও ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদেরও আসামি করে মামলা করেন আইনজীবী আবদুল মালেক।
মামলায় প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ আনেন বাদী আব্দুল মালেক। মামলা দায়েরের পর ওইদিন রাতেই শামসুজ্জামানকে গ্রেফতার করে রমনা থানা পুলিশ।
যদিও এর প্রায় ২০ ঘণ্টা আগে শামসুজ্জামানকে তার সাভারের বাসা থেকে তুলে আনে সিআইডি। জিজ্ঞাসাবাদের পর ২৯ মার্চ মধ্যরাতে তাকে রাজধানীর একটি সড়কে ছেড়ে দেওয়া হয়। এর পরপরই রমনা থানা পুলিশ তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে। এরপর ৩০ মার্চ জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান রোববার (২ এপ্রিল) উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন।
আরও পড়ুন : পাঁচ সিটির নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের দিন প্রথম আলো অনলাইনে প্রকাশিত একটি খবর নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ওই খবরের একটি উদ্ধৃতি সংযুক্ত করে বানানো ছবি-কার্ডে মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে সরকার ও সরকার দলীয় লোকজন। ওই সংবাদে ক্ষুব্ধ হয়েই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি করেন আইনজীবী মশিউর মালেক।
সান নিউজ/জেএইচ