জেলা প্রতিনিধি : লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি স্তর নামতে শুরু করেছে। তবে পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও প্লাবিত গ্রামের মানুষের কষ্ট কমেনি।
আরও পড়ুন : দেশে ফিরেছেন ৬০৬০৪ হাজি
রোববার (১৬ জুলাই) সকালে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজে পানিপ্রবাহ ৫১.৮২ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়, যা স্বাভাবিকের (৫২.১৫ সে.মি.) চেয়ে ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা বলেন, গত শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ হঠাৎ বাড়তে থাকে। পরদিন শনিবার (১৫ জুলাই) সকালে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
আরও পড়ুন : দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যা, নিহত বেড়ে ৩১
এতে নদীটির চরাঞ্চল ও বাম তীরের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। সেই সাথে ডুবে যায় কৃষকের ফসল, ভেসে যায় পুকুরের মাছ।
তবে এ দিন সকাল থেকে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিকেলে পুনরায় কমতে শুরু করে।
আরও পড়ুন : ঢাকায় অবরোধ, রেল-যোগাযোগ বন্ধ
স্থানীয়রা বলছেন, তিস্তার পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার নিচে নেমে আসায় বন্যা পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে।
বন্যায় জেলার ৫ টি উপজেলার প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল। তারা মুক্ত হতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন : নারায়ণগঞ্জে গ্যাস বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৪
এ বন্যার পানিতে তালিয়ে গেছে শত শত হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত, পানির স্রোতে ভেসে গেছে মৎস্য চাষিদের স্বপ্ন। এছাড়া কয়েক শত পুকুরের মাছ ভেসে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মৎস্যচাষিরা।
এদিকে পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় তিস্তার বাম তীরের সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড়, চন্ডিমারী, বালাপাড়া এলাকায় নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন : সংলাপ নিয়ে বিদেশিরা তাগাদা দেয়নি
বন্যাকবিলত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে সমাজ কল্যাণমন্ত্রী নুরুজামান আহমেদ বলেন, বন্যায় যেন মানুষ কষ্টে না থাকে, সেই লক্ষ্যে ডিসিসহ ইউএনওরা দেখছেন। তাদের শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আশা করি তিস্তা পাড়ের মানুষের যে কষ্ট, সেটি একদিন থাকবে না। আদিতমারীতে ৫০ কেটি টাকায় একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানকার মানুষ এখন অনেক ভালো আছেন।
আরও পড়ুন : যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা, নারীসহ নিহত ৪
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, বৃষ্টিপাত না হওয়া আর উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসা বন্ধ হওয়ায় তিস্তা নদীর পানি দ্রুত কমেছে।
তিনি আরও বলেন, শনিবার সকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় তিস্তা পাড়ের চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। এসব এলাকা থেকে নদীর পানি নামতে শুরু করেছে। তবে এখনো বেশকিছু এলাকার ঘর-বাড়িতে নদীর পানি রয়েছে।
আপাতত লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির কোনো আশঙ্কা নেই বলেও তিনি জানান।
সান নিউজ/এনজে