নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। এতে করে পরিবর্তন এসেছে ব্যাংক ও আর্থিকখাতের লেনদেনে। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার, শনিবার ছাড়া রোববারও বন্ধ ছিল ব্যাংক। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ছিলো ব্যাংক হলিডে। সে হিসাবে টানা চারদিন পর ব্যাংক খোলা হলেও গ্রাহক শূন্য ছিলো ব্যাংকগুলো। তবে মতিঝিলে কিছুটা গ্রাহকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সর্বাত্মক বিধিনিষেধের আগেই অধিকাংশ গ্রাহক লেনদেন সম্পন্ন করেছেন। আবার গণপরিবহন বন্ধ ও জনসাধারণ চলাচলে কড়াকড়ি থাকায় অনেকে আসছেন না। তবে আগামী সপ্তাহ থেকে লেনদেন পুরোদমে জমে উঠবে বলে আশা তাদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশক্রমে সোমবার (৫ জুলাই) থেকে লেনদেনের সময়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত লেনদেন চললেও আজ থেকে ব্যাংকগুলো সকাল ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত খোলা ছিলো। আর আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাড়ে ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে ব্যাংক।
রাজধানীর বিভিন্ন বেসরকারি ও সরকারি ব্যাংক ঘুরে দেখা গেছে, আজ সকাল থেকে ব্যাংকের শাখা খোলা হলেও ব্যাংকে গ্রাহকের উপস্থিতি তেমন নেই। যারা ব্যাংকমুখী হচ্ছেন তাদের একটা বড় অংশ বিভিন্ন বিল জমা দিতে এসেছেন। একই চিত্র দেখা গেছে অন্যান্য শাখায়। অন্যদিকে মতিঝিলে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে গ্রাহকের উপস্থিতি থাকলেও তা অন্যদিনের তুলনায় কম।
ব্যাংকটির কর্মকর্তারা বলছেন, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে আজ গ্রাহকের উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল। বেতন-বোনাসসহ অন্য সেবা দেয়ার জন্য অনেক বড় বড় গ্রাহক এসেছেন। তবে ছোট ও মধ্যম শ্রেণীর গ্রাহকের সংখ্যা খুব বেশি নেই।
বেসরকারি এক্সিম ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘চারদিন পর আজ ব্যাংক খোলা। আগেই গ্রাহকরা চাহিদা মতো লেনদেন করেছেন, তাই কম আসছেন আজ। তবে ঈদকে সামনে রেখে আগামী সপ্তাহে লেনদেন স্বাভাবিক হবে আশা করি।’
এর আগে গত ২৬ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অত্যাবশ্যকীয় বিভাগসমূহ, যথাসম্ভব সীমিত লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে। ব্যাংকের প্রিন্সিপ্যাল বা প্রধান শাখা এবং সকল বৈদেশিক বাণিজ্য শাখা (এডি শাখা) সীমিত সংখ্যক অত্যাবশ্যকীয় লোকবলের মাধ্যমে খোলা রাখতে হবে।’
এতে আরও বলা হয়েছে, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকসমূহের ক্ষেত্রে ব্যাংক ব্যবস্থাপনা বিবেচনায় প্রতিটি জেলা সদর ও উপজেলায় একটি করে শাখা খোলা রাখা যাবে। আর অন্যান্য সকল ব্যাংকের ক্ষেত্রে জেলা সদরে একটি শাখা খোলা রাখতে হবে এবং জেলা সদরের বাইরে ব্যাংক ব্যবস্থপনায় অনধিক দুইটি শাখা খোলা রাখা যাবে। কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিংসেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। এটিএম বুথে সার্বক্ষণিক পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।’
সাননিউজ/এমএইচ