স্পোর্ট ডেস্ক : নারীদের হাত ধরে ফুটবলে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ পাচ্ছে একের পর এক সফলতা। আবারো একটি সুখবর এল নারী ফুটবলের মাধ্যমেই। সালমা আক্তার প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) এলিট প্যানেলে প্রবেশ করেছেন। এর মধ্যদিয়ে নারী রেফারিংয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করলেন বাংলাদেশের ফিফা সহকারী রেফারি সালমা আক্তার।
আরও পড়ুন : টিভিতে আজকের খেলা
গতকাল সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) থেকে সালমার এলিট কোটার নিশ্চয়তা আসে।
তিন বছর আগে ফিফা ব্যাজ পেয়েছিলেন সালমা। এরপর চলে এলিটে যাওয়ার প্রচেষ্ঠা। রেফারিদের অনেকেরই এলিটে প্রবেশের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয় ফিটনেস। গতবারের মতো এইবারও সেই বাধা পেরিয়েছিলেন সালমা।
গতবার ম্যাচ পরিচালনায় কিছুটা স্কোর কম পেয়েছিলেন। তবে এবার ম্যাচ পরিচালনায় তুলনামূলক ভালো করায় বেশ আশাবাদী ছিলেন সালমা।
আরও পড়ুন : বুধবার ইমরানুরের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবার থিওরি, গেম পরিচালনা, ফিটনেস সব কিছুই ভালো হয়েছিল। আশায় ছিলাম এলিটে যাব। শেষ পর্যন্ত এলিটে যেতে পেরেছি এটা দারুণ খবর।’
এর আগে জয়া চাকমা প্রথম ফিফা নারী রেফারি হয়েছিলেন। সালমা ছিলেন সহকারী ফিফা নারী রেফারি। জয়া গত কয়েক বছর এলিটে যাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। প্রতিবারই ফিটনেস টেস্টে বাধা পড়েছেন। সালমা এবার সকল কিছু অতিক্রম করে নারী রেফারিতে নতুন মাইলফলক করলেন।
গত মাসে মালয়েশিয়া এএফসি এলিটের জন্য পরীক্ষা হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশ থেকে নাসির, জয়া ও সালমা গিয়েছিলেন। এর মধ্যে একমাত্র সালমাই এলিট হতে পেরেছেন। এলিট কোটায় প্রবেশ করায় সালমা এশিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের নারীদের প্রতিযোগিতা পরিচালনা করতে পারবেন।
আরও পড়ুন : পিএসএল ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন সাকিব
বাংলাদেশে রেফারিদের মধ্যে মনির ঢালী সহকারী রেফারি হিসেবে এলিট প্যানেলে আছেন কয়েক বছর। সালমা নতুন করে প্রবেশ করায় এএফসি এলিটে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব হলো দুই জন। এর আগে এএফসির এলিট প্যানেলে দীর্ঘদিন ছিলেন তৈয়ব হাসান বাবু। তার অবসরের পর কোনো রেফারি আর এলিটে জায়গা করতে পারেননি।
সান নিউজ/জেএইচ/এসআই