মোঃ মাফুকুর রহমান জ্যাকি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় গর্ভের সন্তানসহ প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন : পঞ্চগড়ে কাজের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন
রোববার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের গ্রীন ভিউ হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত খাদিজা বেগম (৪৫) সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেয়াই গ্রামের প্রবাস ফেরত নয়ন মিয়ার স্ত্রী। তার ৪ ছেলে ও ১ মেয়ে রয়েছে।
পরিবারে অভিযোগ, শনিবার রাতে খাদিজার বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে ওই হাসপাতলে এনে গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার জিনিয়া খানের তত্ত্বাবধানে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে অক্সিজেন লাগানোর পর জানানো হয় গর্ভের সন্তান নড়াচড়া করবে।
আরও পড়ুন : কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
কিন্তু সারা রাতেও গর্ভের সন্তান নড়াচড়া করেনি। এমনকি রোববার বেলা ১১টায়ও চিকিৎসক এসে খাদিজকে দেখেনি। পরে পরিবারের লোকজন চাপ সৃষ্টি করলে চিকিৎসক এসে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে খাদিজার গর্ভের সন্তানটি মারা গেছে বলে জানায়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত সন্তানটিকে নরমালি প্রসব করানোর কথা জানান।
এ সময় পরিবারের সদস্যরা মৃত সন্তান নরমালে প্রসব করালে কোনো সমস্যা রয়েছে কি না তা জানতে চাইলে চিকিৎসক বলেন কোনো সমস্যা হবে না। পরে ডাক্তার জিনিয়া খান ও আবু হামেদ বাবু খাদিজার মৃত সন্তানটিকে নরমালি প্রসব করানোর জন্য চেষ্টা চালায়।
আরও পড়ুন : ভোলায় দলিত জনগোষ্ঠীর মানববন্ধন
কিন্তু তাতে খাদিজার শারীরিক অবস্থার অবনতি থাকলে চিকিৎসককে বারবার সিজার করানোর কথা বলা হলেও তারা তা শুনেননি। এরপর থেকেই খাদিজার শরীরে খিচুনি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই সে মারা যায়।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. একরাম উল্লাহ বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে পাঠানো হবে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমরানুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন : চেয়ারম্যান পুত্র পেটালেন মেম্বারকে
তবে অভিযোগের বিষয়ে ডাক্তার মো. আবু হামেদ বাবু জানান, রোগীর বয়স অধিক ছিল। সন্ধ্যার পর থেকে তার খিচুনি ও রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছিল। আমরা রোগীটিকে বাঁচানোর জন্য সব ধরনের চিকিৎসা করেছি।
সান নিউজ/এইচএন