নিনা আফরিন, পটুয়াখালী: আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী ট্রাইবুনালে সাক্ষী দেয়ার অপরাধে পটুয়াখালীতে জামিনা বেগম (৭০) নামে এক মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনার জমি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের দূর্গাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২ টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জামিনা বেগম। সংবাদ সম্মেলন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহন খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদল ব্যানার্জী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল কুমার রক্ষিত ও বীরাঙ্গনা জামিনা বেগমের ছেলে সুজল তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
তিনি জানান, ১৯৭১ সালের মে মাসে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে রাজাকার ও আল-বদরের সহয়তায় দূর্গাপুর গ্রাম থেকে ২১ জন নারীকে পটুয়াখালী সার্কিট হাউসে ধরে নিয়ে যায়। এ সময় হত্যা করা গ্রামের কয়েকশ মানুষকে। সার্কিট হাউসে দিনের পর দিন ধরে আনা নারীদের পাশবিক নির্যাতন করা হয়। ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে তিনি এ ঘটনার স্বাক্ষী দেন।
ওই মামলার রায়ে একজন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি এবং অন্যান্য অপরাধের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়। মামলার রায়ের পর থেকে যুদ্ধাপরাধী গণি হাওলাদারের ভাগ্নে লতিফ তালুকদার, তার দুই ছেলে সোহাগ ও আতিক তাকে এলাকা ছাড়া করতে হুমকি দিয়ে আসছেন।
সম্প্রতি এরা তার স্বামীর পৈত্রিক প্রায় এক একর সম্পত্তি দখল করে নেয়। এ বিষয়ে স্থানীয় সালিসে জমি জমি ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলে রোয়েদাদনামা করা হলেও তার জমি ফেরত না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে দখলদার চক্রটি।
তিনি জানান, তাকে এবং তার ছেলেকে অব্যাহত এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়ায় তিনি জীবন বাঁচাতে বর্তমানে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসি গঠনে ৬ সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি
তিনি জানান, ১৯৭১ সালে নিজের সম্ভ্রম দিয়ে লাল সবুজের পতাকা এনে দিয়েছেন কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছর পর জীবন বাঁচাতে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লতিফ তালুকদারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জামান জানান, হুমকির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ