আশরাফুজ্জামান রুবেল, তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আঠারমাইল থেকে পাইকগাছা, কয়রা ভায়া তালায় ২৬৭৬০৪ নং সড়কের বাঁক সরলীকরণে অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন জেলা জজ আদালত।
আরও পড়ুন: সবজি খাওয়াটাও বিলাসিতা!
রবিবার (২৬ নভেম্বর) অধিকৃত জমির মালিক তালার গোপালপুর গ্রামের অশোক দেবনাথের পক্ষে সুবীর দেবনাথের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বিষ্ণুপদ পাল এ আদেশ দেন।
মামলার আদেশপত্র সূত্রে জানা যায়, তালা উপজেলার মাঝিয়াড়া মৌজার ৯১৮ নং খতিয়ানের ১৮৩৭ নং দাগ সহ ৬ টি দাগের ১ একর ৬০ শতক জমির মধ্য হতে ৬ শতক জমি ক্রয় করেন অশোক দেবনাথ ও শিরিনা সুলতানা। ওয়ারেশ সূত্রে মালিক হয়ে কাজী ইসরাফিল হক এ জমি বিক্রয় করেন। তিনি তালার মৃত সিরাজুল হকের ছেলে।
মামলার আবেদন পত্রসূত্রে জানা যায়, মামলার বিবাদী রহিমা বেগম ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক জায়গা দখল করে এবং সরকারী তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে নিজের দখলে রাখেন। তিনি তালার মৃত কাজী জালাল উদ্দীনের মেয়ে। পরবর্তীতে তিনি সরকারী কর্মকর্তাদের যোগসাজসে সরকারী অধিগ্রহণের প্রাপ্য টাকা উঠিয়ে আত্মসাত করেন। যার প্রেক্ষিতে আদালতে মামলা করেন ভূক্তভোগী। যার নং সাতক্ষীরা পি-২৪৫৪/২৩।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ নিয়ে হাইকোর্টের ক্ষোভ প্রকাশ
ভূক্তভোগী সুবীর দেবনাথ বলেন, ২০১৮ সালে ৩৭৭৩ নং কোবলা দলিলমূলে মাঝিয়াড়া মৌজার ৯১৮ নং খতিয়ানের ১৮৩৬, ১৮৩৭, ১৮৩৮, ১৮৪০, ১৮৪১, ১৮৪৩, ১৮২৯ ও ১৮৩৬ নং দাগের ১ একর ৬০ শতক জমির মধ্য হতে ৬ শতক জমি ক্রয় করে পাঁকা দোকান ঘর তৈরী করি। যার সরকারী হিসেবে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৯৫৬৭১ টাকা। এখনো পর্যন্ত জমি ও দোকান ঘর আমার দখলে আছে। বিবাদী ভুল বুঝিয়ে ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সমুদয় টাকা উত্তোলন করে নেন। সে কারণে আমি বিজ্ঞ আদালতের স্মরণাপন্ন হলে আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এই আদেশের কপি সহকারী কমিশনার (ভূমি), তালা থানা অফিসার ইনচার্জ ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে দেয়া হয়েছে।
এলাকায় না থাকায় বিবাদী রহিমা বেগমের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টির প্রার্থী ঘোষণা
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, আদালতের একটি আদেশ পেয়েছি। আদালতের আদেশ অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এইচএন