সান নিউজ ডেস্ক: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, যত শিগগির সম্ভব ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্পটি অনুমোদন করানো হবে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ডিজেল
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সুইস রাষ্ট্রদূত নাতালি চুয়ার্ডের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা নিয়ম-কানুনের মধ্যেই ইভিএম নিয়ে কথা বলছি। নির্বাচন কমিশনের সব প্রয়োজন আইনের আলোকে বিচার করা হবে। যত শিগগির সম্ভব ইভিএম কেনার প্রকল্প অনুমোদন করা হবে। দ্রুত আমরা এটি করানোর চেষ্টা করবো।
জানা গেছে, আরও দুই লাখ ইভিএম কেনার জন্য আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে প্রকল্পটি এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলবে
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে কত আসনে ইভিএমে ভোট হবে, তা বাজেটের ওপর নির্ভর করবে। তবে এ বিষয়ে জানুয়ারির মধ্যেই সিদ্ধান্ত হবে। এখন যে পরিমাণ ইভিএম আছে, তা দিয়ে ৭০ আসনে ভোট করা যাবে। বাকিটা নির্ভর করবে কী পরিমাণ বাজেট পেলাম তার ওপর। জানুয়ারিতে পর্যাপ্ত বাজেট পেলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট হবে। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেলে সেটা আর সম্ভব হবে না।
ইসি আলমগীরের এ বক্তব্যের বিষয়টি পরিকল্পনামন্ত্রীকে জানিয়ে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প পাস হবে কি না, তা জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (নির্বাচন কমিশন) অবস্থান আমরা জানি না। তবে পেপারে আমরা পড়েছি, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম কেনার প্রকল্পটি পাস হতে হবে।’
এম এ মান্নান বলেন, ‘শুধু একনেক সভায় এগুলো অনুমোদন হয়, ব্যাপারটি তা নয়। তাদের (নির্বাচন কমিশন) সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। তাদের সচিব আমাদের সচিবের মধ্যে কথাবার্তা চলছে। ১৫ জানুয়ারি কোনো রেড লাইন (লাল রেখা) নয়, এটা ১৮ জানুয়ারিও হতে পারে, ২০ জানুয়ারিও হতে পারে। এমনকি আগামীকালও ইভিএম প্রকল্প অনুমোদন হতে পারে।’
আরও পড়ুন: সবাইকে স্বাস্থ্য কার্ড দেবে সরকার
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা কতগুলো ইভিএম দেবো একনেক সভার আগে পিইসি সভায় সেটা আলোচনা হয়। এখানে আমরা উপস্থিত থাকি। নির্বাচন কমিশনের লোকজনও উপস্থিত থাকেন। সবাই আলোচনা করেই এটা অনুমোদন দেবো।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর যেকোনো সরকার টাকা হিসাব করে খরচ করে। সেটা সুইজারল্যান্ড হোক আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হোক। যখনই কোনো প্রস্তাব আমাদের কাছে আসে, তখনই আমরা এগুলো আইন ও নিয়ম-কানুনের আওতায় দেখভাল করি। নির্বাচন করতেই হবে। সাংবিধানিকভাবে বলা আছে, ইসিকে সার্বিক সহযোগিতা দিতে হবে। আমরাও কিন্তু সেই পথে আছি, যা কিছু করি দুপক্ষ আলোচনা করে করি।
সান নিউজ/এনকে