রাজনীতি

অপকর্ম করার জন্য অবরোধ ডেকেছে

নিজস্ব প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির কিছু ভাড়া করা লোক আছে, তাদের দলের ভিতরে ট্রেনিংপ্রাপ্ত কিছু দুষ্কৃতকারী আছে, যাদের দিয়ে বাস পোড়াবে, বাসে আগুন দেবে, ভাঙচুর করবে, এসব অপকর্ম করার জন্য অবরোধ ডাকা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আ.লীগের শ্রদ্ধা

শুক্রবার (৩ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২৮ তারিখ আবারও প্রমাণ হয়েছে সাম্প্রদায়িক শক্তির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। এরাই জাতির প্রধান দুশমন। এ দেশের গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতাকে নিরাপদ করতে বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে, পরাজিত করতে হবে।

কাদের বলেন, সেদিন বিএনপি ২৪ জন সাংবাদিকের ওপর নৃশংসভাবে হামলা করেছিল, কিভাবে একজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছিল, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছিল, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। পার্কিং করা বাসে ঘুমন্ত হেলপারকে গাড়িসহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব অপকর্মের যারা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের আটক করা কি দমনমূলক? অপরাধ করলে বিচার হবে না? ২৪ জন সাংবাদিকের ওপর সেদিন যে অত্যাচার করেছে তারা কি দায় এড়াতে পারবে? এটার বিচার হবে না? অপরাধ করলে বিচার হবে।

তিনি আরও বলেন, তারা আরও অবরোধ দিক। গতবারের অবরোধ রয়ে গেছে। এখনো প্রত্যাহার করার কোনো লক্ষণ নেই। এরা টায়ার্ড হয়ে গেছে। জেলে না হয়, পালিয়ে হিন্দি সিরিয়াল দেখবে।

আরও পড়ুন: ধিক্কার ছাড়া কিছু জুটবে না বিএনপির

কাদের বলেন, আমাদের আজ প্রশ্ন, এটা জাতির বিবেকেরও প্রশ্ন, বাংলার মাটিতে এই হত্যা, ষড়যন্ত্র, এই রাজনীতির শেষ কোথায়? আমাদের কাছে মনে হয়, ’৭৫ থেকে যে হত্যাকাণ্ড, সব হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবে। সেই পরাজিত শক্তি বারবার জাতির মর্মমূল, জাতির চেতনায় বারবার আঘাত হেনে চলছে। এরা সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প সরাচ্ছে। আজ তারা শেল্টার পেয়েছে। এদের বিশ্বস্ত ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি।

সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়৷ ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর একই সূত্রে গাথা, একটি ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নিঃশেষ করার চক্রান্ত হয়, শুধুমাত্র শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে ছিলেন বলে তারা রেহাই পেয়েছেন। এরপর ৩ নভেম্বর জেলের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধের চারজন বিশিষ্ট সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর সহচর, আমাদের চারজন জাতীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট, সেটার প্রধান টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।

সান নিউজ/টিও

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে হাতিয়াতে উঠান বৈঠক

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষ...

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ

ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ইসলাম...

বাগেরহাটের কলার বাম্পার ফলন

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে কলার বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে বসেই কলার দাম ভালো পাওয়ায়...

ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে শাপলা চত্বরের ঘটনা

ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে শাপলা চত্বরের গণহত্যার ঘটনা এমন মন্তব্য কর...

একীভূত হচ্ছে না গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি

সম্প্রতি গুঞ্জন উঠে দেশের তরুণদের নিয়ে গঠিত দল দুইটি একীভূত হওয়ার বিষয়ে। তবে...

ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন ইলিয়াস কাঞ্চন

নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন...

আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ, সরকার নয়: এজেডএম জাহিদ হোসেন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার ব...

জামায়াত আমিরের সাথে সুইডেন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনে...

দেশে ভূমিধস-জলাবদ্ধতার শঙ্কা, ৮ বিভাগেই ভারী বৃষ্টির সতর্কতা

বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আগামী ৭২ ঘণ্টায় রা...

আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সম্ভাবনা নেই

রাজনৈতিক কার্যক্রমে আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সম্ভাবনা নেই বল...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা