নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া শীতলক্ষ্যা নদীর উপর কদমরসুল সেতু নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
কদমরসুল সেতু প্রকল্প ২০১৭ সালে একনেকে চুড়ান্ত করা হয়। যৌথভাবে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে। কিন্ত নগরের বাস্তবতা ও সংকট বিবেচনা না করেই সেতুর নকশা চুড়ান্ত করা হয়।
এই প্রকল্প প্রক্রিয়া দীর্ঘ দিন যাবত চলমান থাকলেও সেতু ব্যবহারকারী নাগরিকদের সাথে কোন প্রকার মত বিনিময় বা তাদের কোন মতামত গ্রহণ করা হয়নি।
নকশা অনুযায়ী সেতুর পশ্চিম প্রান্তের অংশ শহরের ব্যস্ততম এলাকা ফলপট্রি নারায়ণগঞ্জ কলেজের সামনে এসে নামবে। এমনিতেই এই এলাকাটিতে সব সময় যানজট লেগেই থাকে। নকশা অনুযায়ী এটি বাস্তবায়ন হলে শহরে যানজট আরো ভয়াবহ আকার ধারন করবে।
একসময় যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল থাকার কারণে নারায়ণগঞ্জকে পূর্ববঙ্গের সিংহদ্বার বলা হতো। কিন্ত অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং অপরিকল্পিত পরিবহণ ব্যবস্থার কারণে জনদুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। চলমান নকশা অনুযায়ী সেতুটি নির্মাণ করা হলে জনদূর্ভোগ আরো বাড়বে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে একনেকে চূড়ান্ত হওয়া প্রকল্পটি ২০১৮ সালের জুন থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্মাণের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। সেতুটির মূল দৈর্ঘ্য ৩৮০ মিটার, প্রস্হ ১২ দশমিক ৮০ মিটার, সংযোগ সড়ক ১৩৯৭ মিটার। প্রকল্প ব্যয় ৭৩৫ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি বলেন, এমনিতেই যানজটে নাকাল নগরবাসী। চলমান নকশা অনুযায়ী সেতু নির্মাণ করা হলে শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল, নারায়ণগঞ্জ কলেজ, দ্বিগুবাবুর বাজার, বৃহত্তম সুতার মার্কেট, প্বার্শবর্তী রেলষ্টেশন, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনালসহ আশপাশের এলাকা যানজটের কারণে অচল হয়ে পড়বে।
সাননিউজ/ইউকে