বিনোদন ডেস্ক : মনে আছে স্টার প্লাসের সেই নাভেয়ার কথা। পর্দার সেই চুলবুলি নাভেয়া মুগ্ধ ছিলো দর্শক। তবে পর্দার নাভেয়ার জীবনে একজন প্রকৃত ভালোবাসার মানুষ থাকলেও বাস্তবের সৌম্যা শেঠের জীবনের গল্প ভিন্ন। দাম্পত্য কহলের জেরে চরম হতাশা ভুগেছেন তিনি। এমনকি অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন বহুবার জীবন শেষ করে দেয়ার কথা ভেবেছেন সৌম্যা। এক ভারতীয় সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের হতাশা নিয়ে মুখ খুলেছেন এই অভিনেত্রী।
সৌম্যা বলেন, ২০১৭ সালে আমি বিয়ে করি, মাসখানেকের মধ্যেই গর্ভবতী হয়ে পড়ি। এরপর আমি আত্মহত্যা করবার রাস্তা খুঁজতে শুরু করি। এই ভাবনা আমার পিছু ধাওয়া করেছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমার বাবা-মা ভার্জিনিয়া (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) গিয়ে পৌঁছেছিলেন। ওনারা গিয়ে আমার উদ্ধার করেন, এবং প্রায় মৃত্যুমুখ থেকে ফেরান। আমার আজও মনে পড়ে সেই মুহূর্তের কথা, যখন আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে চিনতে পারছিলাম না। আমার সারা দেহ ক্ষতবিক্ষত ছিল, আমি দিনের পর দিন না-খেয়ে ছিলাম, যদিও আমি প্রেগন্যান্ট ছিলাম। প্রথমে আয়নার সামনে দাঁড়ানোর সাহস হয়নি, যখন দাঁড়ালাম মনে হল এই জীবন শেষ করে ফেলি।
এই পরিস্থিতি থেকে সৌম্যাকে আসলে রক্ষা করেছিল তার গর্ভজাত সন্তান। অভিনেত্রী বলেন, আমার পরমূহূর্তেই মনে হয়েছিল, আমি অন্তঃসত্ত্বা। আমি মারা গেলে আমার সন্তান জানবে না আমি তাকে কতটা ভালোবাসি। মা’কে ছাড়াই ওকে আজীবন কাটাতে হবে। আমি নিজে মরে গেলেও আমার সন্তানকে সামান্য কষ্ট দেয়ার কথাও ভাবতে পারব না। তাই বলতে পারেন আমার ছেলে আইডেন আমায় বাঁচিয়ে রেখেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা অরুণ কুমারকে বিয়ে করেন সৌম্যা। তবে একবছরের মধ্যেই আলাদা হয়ে যান তারা। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের জুন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্স হয় তাদের।
সৌম্যা ও তার প্রাক্তন স্বামী অরুণ কুমারের কাছে ছেলের যৌথ কাস্টডি রয়েছে। এক সপ্তাহ অন্তর ছেলে মায়ের কাছে থাকে। ছেলের সঙ্গে খনসুটি আর দুষ্টুমি করেই আপতত সময় কাটছে সৌম্যার। কোভিডের জন্য আপতত খুব বেশি ছেলেকে নিয়ে বাইরে বের হন না সৌম্যা। ঘরে বসেই ছবি আঁকা, গান গাওয়া- এইসব করেন। হয়ত খুব বেশি হলে বাড়ির সামনে সাইকেলে চেপে চক্কর লাগানো।
শেষবার কালার্স টিভির শো চক্রবর্তীন অশোক সম্রাট (২০১৬)-এ দেখা গিয়েছে সৌম্যকে। অভিনয় তার প্রথম ভালোবাসা, তবে কামব্যাকের ব্যাপারে কোনও পরিকল্পনা নেই তার। আপতত মার্কিন মুলুকের ভার্জিনিয়াই সৌম্যার স্থায়ী বাসস্থান। সেখানে লাইসেন্স রিটেলার হিসাবে কাজ করছেন তিনি।
সান নিউজ/এসএম