নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ১৬ মে, ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ১৯৭৬ সালের এ দিনে রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান থেকে মারণবাঁধ ফারাক্কা ব্যারাজ অভিমুখে লংমার্চ করে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাড়া ফেলেন মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সেই থেকে দিনটি ফারাক্কা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে বইছে তাপপ্রবাহ
নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে এমন সোচ্চার জনমত ফারাক্কা লংমার্চের আগেও দেখা যায়নি, পরেও নয়। লংমার্চের প্রধান নেতা ও সংগঠক ভাসানীকে ৯৫ বছরের শারীরিক অসুস্থতা বা রাজনৈতিক চাপ, দমাতে পারেনি।
পাকিস্তান আমলে ১৯৫২ সাল থেকে গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়। ১৯৭০ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান সরকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেয়নি। ফলে ভারত তার মতো কাজ করে যায়।
ভাসানীর ফারাক্কা লংমার্চের সময়ই তারা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে। ভাসানী সত্যি এটি ভেঙ্গে ফেলবে ভেবে তারা ঘাবড়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
ভারত ১৯৭৫ সালে তিস্তা ব্যারেজ দিয়ে পরীক্ষামূলক অল্প কয়েকদিনের কথা বলে পানি প্রত্যাহার শুরু করে, পরে তা আর বন্ধ হয়নি। ফলে ৪৮ বছর ধরে ফারাক্কা ব্যারাজের প্রভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রয়েছে পানির হাহাকার।
পরে ১২ ডিসেম্বর ভারতের গঙ্গা নদীর পানি ভাগাভাগির নিয়ে ঢাকা ও নয়াদিল্লীর মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদি চুক্তি হয়, যা কিছুটা হলেও প্রাপ্য পানি নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছে।
এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আর ২ বছর পর। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশকে প্রতিবছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ৩৫ হাজার কিউসেক পানি দেবে দেশটি।
আরও পড়ুন: আগুনে শতাধিক ঘর-দোকান ভস্মীভূত
ফারাক্কা ব্যারাজের মাধ্যমে নদীর পানি সরানোয় কেবল বাংলাদেশই নয়, ভারতের মালদহ-মুর্শিদাবাদসহ আরও উজানে বিহার ও উত্তরপ্রদেশে আকস্মিক বন্যা, নদী ভাঙনে প্রতিবছর বহু মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোচনা সভা, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
সান নিউজ/এনজে