নিজস্ব প্রতিবেদক : ২০৪১ সালের আগেই আমরা উন্নত দেশে পদার্পণ করব বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নত দেশের লক্ষ্য ইতোমধ্যে নির্ধারণ করেছে। পৃথিবীর সব অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশ যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে তার আগেই উন্নত দেশ হবে। আমাদের বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও উন্নয়ন এগিয়ে যাচ্ছে, ২০৪১ সালের আগেই আমরা উন্নত দেশে পদার্পণ করব।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে জরুরি মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং প্রকল্পের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই প্রেরণা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ এখন দরিদ্র দেশ নয়। সেই জায়গায় নদীমাতৃক যে বাংলাদেশ, সমুদ্রবেষ্টিত বাংলাদেশের বিরাট সম্ভাবনা। সে জায়গায় আমাদের পায়রা বন্দর বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। তা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে ২০৩৫ সালের মধ্যে পায়রা বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে। সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ পদ্মা সেতু ও পায়রা বন্দরকে ঘিরে যে স্বপ্ন দেখছে, সে স্বপ্ন সমগ্র বাংলাদেশে বিস্তৃত হবে।
সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন দেখি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মা সেতুর কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। পায়রা বন্দরের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। মাতারবাড়ীর গভীর সমুদ্র বন্দরের প্রাথমিক পদক্ষেপগুলো আমরা নিয়ে ফেলেছি। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ সামগ্রিক এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পায়রা বন্দরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দর নির্মাণ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর একটি স্বপ্নের প্রকল্প। পায়রা বন্দরকে ঘিরে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেগবান হবে। পায়রা বন্দরসহ বিশাল সমুদ্রসীমার নিরাপত্তার জন্য পায়রা বন্দর এলাকায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘাঁটি এবং ‘শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্ট’ নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।
পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলে (ইনার ও আউটার চ্যানেল) ৬ দশমিক ৩ মিটার গভীরতা বজায় রাখার লক্ষ্যে জরুরি মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডে নুল এর মধ্যে আজ এক চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর হুমায়ুন কল্লোল এবং বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডে নুল এর প্রকল্প পরিচালক জান মোয়েন্স। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মামুনুর রশিদ।
সান নিউজ/কেটি/এস