নিজস্ব প্রতিনিধি, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা ডক্টরস ল্যাব এন্ড হাসপাতালে ইকো টেস্টের ভুল রিপোর্টে চিকিৎসা নিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন এক রোগী। এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী রোগীর পিতা দেবহাটা উপজেলার দক্ষিণ সখিপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক আব্দুস সাত্তার।
তিনি জানান, আমার মেয়ে আনোয়ারা পারভীন দীর্ঘদিন যাবৎ শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিল। গত ৪ অক্টোবর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় আনোয়ারাকে সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ৮ অক্টোবর সাতক্ষীরা ডক্টরস ল্যাব এন্ড হাসপাতালে অধ্যাপক ডাঃ জিকেএম শহীদুজ্জামানকে দেখানো হয়। এ সময় তিনি প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং কয়েকটি টেস্ট করাতে বলেন। তার কথা মত সকল টেস্টগুলো ডক্টরস ল্যাব থেকে করা হয়।
তিনি আরও জানান, টেস্টগুলোর মধ্যে ইকো টেস্ট করার কথা বলেন। ওই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কর্তব্যরত ডাক্তার ঔষধ লেখেন এবং সে অনুযায়ী আমার মেয়েকে ঔষধ সেবন করানো হয়। ওই ঔষধ সেবনের পর আমার মেয়ের অবস্থা দিন দিন আরো খারাপের দিকে যায় এবং বাড়িতে বিছানায় ছটফট করতে থাকে। নিরুপায় হয়ে ১২ নভেম্বর সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমার মেয়েকে ভর্তি করি।
সেখানে ভর্তির পর ডক্টর’স ল্যাব এন্ড হাসপাতালের রিপোর্টগুলো ডা. কাজী আরিফ আহমেদ দেখে তিনি জানান, ‘টেস্টগুলোর মধ্যে ইকো টেস্ট প্রদান গুরুত্বর রোগীর ক্ষেত্রে দেওয়া হয়। যেহেতু এই রোগী ওই সময় এতটা গুরুতর ছিল না সেহেতু এই রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসা হলে রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক’।
রোগীর পিতা ইজিবাইক চালক আব্দুস সাত্তার জানান, এ সময় ডা. কাজী আরিফ আহমেদ ভুল রিপোর্ট সম্পর্কে আমাকে অবহিত করেন এবং টেস্টটি পুনরায় করিয়ে দেন। এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আমি ডক্টর’স হাসপাতালে গেলে তারা কোন কথা না শুনে উল্টা নানা ধরনের খারাপ আচরণ করে এবং কিছুই করার নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ডক্টরস হাসপাতালের ভুল রিপোর্ট প্রদানে আমার মেয়ে এবং পরিবারের সদস্যরা হয়রানির শিকার হয়েছে। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি’।
এ বিষয়ে কথা বলতে সাতক্ষীরা ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড হাসপাতালের ম্যানেজার আক্তারুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. মো হুসাইন শাফায়াত বলেন, ‘এটি খুবই দুঃখ জনক ঘটনা। রোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে তদন্ত কমিটি গঠন করে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।
সান নিউজ/এমআই/এনকে