আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি সংলাপ শুরু করতে প্রস্তুত রাশিয়া। তবে সেই আলোচনা অবশ্যই এই যুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব দেশের সম্মতির ভিত্তিতে হতে হবে।
আরও পড়ুন : গুলিতে আহত স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী
বুধবার (১৫ মে) চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিনহুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি সংলাপ শুরু করতে প্রস্তুত, কিন্তু সেই সংলাপের গতিপ্রকৃতি অবশ্যই এমন হতে হবে যে এই যুদ্ধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো দেশের স্বার্থ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়; এ তালিকায় আমরাও রয়েছি।’
‘আমরা কখনও ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি সংলাপের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করিনি। মস্কো সবসময় ইউক্রেনে একটি বিস্তৃত এবং টেকসই শান্তি পরিস্থিতির পক্ষে।’
আরও পড়ুন : ইন্দোনেশিয়ায় ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় নিহত ৫৮
মূলত এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে ইউক্রেনের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও তার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা বিশ্বকে ইঙ্গিত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে এ যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে যারা ইউক্রেনকে অর্থ ও সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
২০১৫ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে স্বাক্ষরিত মিনস্ক চুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিল কৃষ্ণ সাগরের উপদ্বীপ ক্রিমিয়াকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে কিয়েভের স্বীকৃতি দেওয়া; কিন্তু চুক্তিতে স্বাক্ষর করলেও সেই প্রতিশ্রুতি পালন না করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য চেষ্টা তদবির শুরু করে ইউক্রেন।
আরও পড়ুন : চলতি মাসে আঘাত হানবে ‘রেমাল’
এই নিয়ে কয়েক বছর মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে টানাপোড়েন চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীকে ইউক্রেনে অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন পুতিন। সেই অভিযান এখনও চলছে।
গত ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে ইতোমধ্যে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও ঝাপোরিজ্জিয়া— চার প্রদেশের দখল নিয়েছে। প্রদেশগুলোর সম্মিলিত আয়তন ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের দশ শতাংশ। মস্কো ইতোমধ্যে এই প্রদেশগুলোকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছে।
ইউক্রেন বলেছে, রাশিয়া যেসব অঞ্চল দখল করেছে— সেগুলো ফেরত দিলেই শান্তি সংলাপে বসবে কিয়েভ। অন্যদিকে রাশিয়া বলছে, যুদ্ধে যে ৪ প্রদেশের দখল নিয়েছে রুশ বাহিনী, সেগুলোকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে কিয়েভ স্বীকৃতি দিলে সংলাপে যোগ দেবে মস্কো।
সান নিউজ/এমআর