লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রবাসী কাঞ্চন মিয়ার বাড়িতে হামলা ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আসমা আক্তারকে মারধর ও আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে নিশি আক্তার, ফরিদা আক্তার, ও খুশিদা আক্তার নামের ৩ নারীর বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বজ্রপাতে ২ কৃষকের মৃত্যু
এ সময় ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা আসমা আক্তারকে জোরপূর্বক ট্যাবলেট খাইয়ে গর্ভপাত করানোরও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ১২ মে সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড প্রবাসী কাঞ্চন মিয়ার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নিশি আক্তারসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। নিশি আক্তার প্রবাসী কাঞ্চন মিয়ার প্রথম স্ত্রী। অন্যরা সবাই কাঞ্চন মিয়ার পরিবারের সদস্য।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী কাঞ্চন মিয়া দ্বিতীয় বিবাহ করার পর থেকেই তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে পরিবার তাদেরকে না মেনে নেয়ায় কাঞ্চন মিয়ার প্রথম স্ত্রীসহ তার পরিবার নানাভাবে আসমা আক্তারকে নির্যাতন করে আসছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে হাসপাতালে আগুন
তারপর থেকে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করে আসমা। এদিকে আসমা আক্তার ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা শুনে ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সেই ভাড়া বাসায় ডুকে হামলা ভাংচুর ও মারধর শুরু করেন অভিযুক্তরা।
একপর্যায়ে আসমা আক্তারকে জোরপূর্বক এমএম কিট মিফটন ট্যাবলেট খাইয়ে দেয় এবং বাসায় থাকা নগদ অর্থ, স্বর্ণলঙ্কার ও মোবাইল ফোনসহ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
আসমা আক্তার বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আমার মেয়ে ছাদে খেলছিল। আমি বাসার দরজা খোলা রেখে শুয়ে ছিলাম। তারা আমার বাসায় ঢুকেই আসবাবপত্র সব ভাংচুর করতে থাকে। আমাকে মারধর করে জোরপূর্বক বটি গলায় ধরে বাচ্চা নষ্ট করার ওষধ খাইয়ে দেয়।
বটি দিয়ে কোপ দিতে গেলে আমার মেয়ে তাদেরকে ধাক্কা দিয়ে বটি ফেলে দিয়ে এবং সরিয়ে ফেলে। পরে তারা আমাকে ও মেয়েকে মারধর করে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুবিচার চাই।
সান নিউজ/এনজে