আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার অভিযোগ এনেছে ফ্রান্স। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-ইভ লু দ্রিয়া বলেন, পারমাণবিক সাবমেরিন বিক্রির চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া মিথ্যাচার করে সংকট তৈরি করেছে।
ফ্রান্স এই অভিযোগ করার আগে শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দেশ দুটিতে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূতদের ডেকেছিল।
টেলিভিশন চ্যানেল ফ্রান্স-২’কে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে দেশ দুটি ফ্রান্সের সঙ্গে বিশ্বাসভঙ্গ ও অপমানজনক আচরণ করেছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে চুক্তি হয়। ‘এইউকেইউএস’ নামে এই চুক্তির অধীনে অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন প্রযুক্তি সরবরাহ করবে ওই দুই দেশ। কিন্তু এর আগে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের সাবমেরিন সংশ্লিষ্ট চুক্তি হয়। যার আর্থিক মূল্য ৩৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার চুক্তি হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে ফ্রান্স। এছাড়া দেশ দুটির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার নতুন চুক্তির কয়েক ঘণ্টা আগে ফ্রান্সকে বিষয়টি জানানো হয়।
এ নিয়ে জ্যঁ-ইভ লু দ্রিয়া বলেন, নতুন এই চুক্তি মিত্র দেশগুলোর সম্পর্কের মধ্যে মারাত্মক সংকট তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের সম্পর্কের ইতিহাসে প্রথমবার আমরা রাষ্ট্রদূতদের ডেকে আনলাম। এটি একটি গুরুতর রাজনৈতিক পদক্ষেপ।
ফ্রান্সের নৌযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নেভাল গ্রুপের কাছ থেকে নতুন সাবমেরিন তৈরি করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া । ২০১৬ সালে দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত জুনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের ফ্রান্স সফরকালে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতার কথা বলেছিলেন।
এমনকি দুই সপ্তাহ আগেও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, তারা ফ্রান্সের কাছ থেকেই এই সাবমেরিন তৈরি করে নেবেন। কিন্তু দুই সপ্তাহের ব্যবধানে হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে অষ্ট্রেলিয়া। এদিকে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিটার ডাটন ফ্রান্সের বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগ অস্বীকার করে ক্যানবেরা যা করেছে তা খোলামেলা ও সততার সঙ্গে করেছে বলে দাবি করেছেন।
এছাড়া রোববার দেশটির অর্থমন্ত্রী সিমন বার্মিংহাম বলেছেন, চুক্তিটি প্রকাশের আগে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব এ বিষয়ে ফরাসি সরকারকে জানানো হয়েছে।
সাননিউজ/এমআর