নিজস্ব প্রতিবেদক : যাপিত জীবনের যাঁতাকলে, সংকট কিংবা সংগ্রামে আলোকিত জীবনের প্রশান্তি এনে দেয় বই। আলোকিত করে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। সেই আলো ছড়িয়ে দিতে এবার এগিয়ে এসেছে সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনিশিয়েটিভ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
নাগরিকদের পাঠ্যাভ্যাস ফিরিয়ে আনতে চালু করেছে ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি “পরম্পরা”।
প্রকৃতির রুক্ষতার প্রখরতা থেকে যেখানে বেঁচে থাকাটাই দায়। সেই শুণ্য উদ্দান মরুতেও যে আলোর ফুল ফোটে। এই চারপায়ে লাইব্রেরি যেন সেই বাতিঘর। ইথিওপিয়ার প্রত্যন্ত মরু অঞ্চল, যেখানে উটের পিঠে একজন ছড়িয়ে দিচ্ছেন জ্ঞানের আলো; নিজ উদ্যোগে।
একই রকম গল্পে কলম্বিয়ার এল ডিফিসিলেও আছে গাধার পিঠে ভ্রাম্যমাণ বইঘর। যেখানে শ্রেণি বৈষম্যের যাতাকলে বাজে অস্ত্রের ঝনঝনানি।
আধুনিক হোক কিংবা না হোক, হোক না খোলা প্রান্তর কিংবা সুসজ্জিত চার দেয়াল, একটি বইই যখন হয়ে ওঠে অতীত বর্তমান ভবিষ্যতের সাঁকো তখন পাঠকের নিমগ্ন চোখ যেন আটকে থাকে রঙিন মলাটের সেই পৃথিবীতে। যুগে যুগে এভাবেই লাইব্রেরি মিটিয়ে চলেছে মানুষের জ্ঞান তৃষ্ণা। ধারণ করেছে পৃথিবীর ইতিহাস। যদিও ভিন্নচিত্রে বাংলাদেশে লাইব্রেরিই এখন ইতিহাস।
সেই শূন্যস্থান পূরণে এবার এগিয়ে এসেছে সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনিশিয়েটিভ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। যান্ত্রিক নগরীর ব্যস্ত ঠাসবুনটে, নাগরিকদের পাঠ্যাজ্ঞান ফিরিয়ে আনতে চালু করেছে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরি কার্যক্রম “পরম্পরা”।
প্রত্যাশা, ‘পরম্পরা’ই হয়তো প্রজন্মে ধরে রাখবে ইতিহাস। প্রজন্ম জানবে বঙ্গবন্ধু , মুক্তিযুদ্ধ কিংবা ভাষা আন্দোলন। প্রাথমিকভাবে আগামী বছরের ২৬ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটির ৫৪ টি ওয়ার্ডে চলবে পরম্পরার কার্যক্রম।
সান নিউজ/এসএ