নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার মদনপুরে গাজীপুর পেপার বোর্ড লিমিটেডের বয়লার বার্নার ব্যাক ফায়ার হয়ে দগ্ধ আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন জন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোঃ বাচ্চু মিয়া।
মৃতরা হচ্ছেন, আব্দুল হক (৫৫)। তিনি রোববার দিবাগত রাতে মারা যান। আর হাফিজুর রহমান (২৬) সোমবার বিকেলে চিকিৎসা ধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে আব্দুল হক। পিরোজপুর জেলার মাহবুব হাওলাদারের ছেলে হাফিজুর রহমান।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটের আবাসিক সার্জন এসএম আইউব হোসেন বলেন, আব্দুল হকের শরীরে ৭৫ শতাংশ ও হাফিজুরের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে ছিল। বর্তমানে শাহীন নামে একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থাও আশংকাজনক। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টায় নারায়নগঞ্জের মদনপুরে গাজীপুর পেপার বোর্ড লিমিটেডের বয়লার বার্নার ব্যাক ফায়ার হয়ে দগ্ধ ৪ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন, কুমিল্লার শাহিন (৩২), চট্টগ্রামের আব্দুল হানিফ (৪২), নারায়নগঞ্জের আব্দুল হক (৫৫), বরিশালের হাফিজুর রহমান (২৬)। এর মধ্যে মোঃ হানিফকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন।
মৃত হানিফ চট্টগ্রাম মিরসরাই পূর্ব ইচাখালী গ্রামের মৃত মোকসেদ আহমেদের ছেলে। তবে মদনপুরে পেপার বোর্ড লিমিটেডের ভেতরেই থাকতেন। পেশায় তিনি বয়লার ইনচার্জ ছিলেন। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। এছাড়া তিন ছেলে সন্তানের জনক ছিলেন তিনি।
সান নিউজ/এমকেএইচ