নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির পিতার ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল প্রকৃত অর্থেই স্বাধীনতার ঘোষণা। এতে একদিকে যেমন গেরিলাযুদ্ধের নির্দেশনা ছিল, অন্যদিকে জনগণকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতের রণকৌশলও ছিল।
তিনি বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের প্রতিটি লাইন ছিল বাঙালির অত্যাচার-নির্যাতন ও বঞ্চনার ইতিহাস এবং সব থেকে বড় কথা, এই ভাষণের মধ্য দিয়ে একটি যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার সঠিক দিকনির্দেশনা জাতির পিতা দিয়ে গেছেন। কারণ, একটা গেরিলাযুদ্ধ হবে, সেই যুদ্ধ করতে হলে কী কী করতে হবে- সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোলা থেকে শুরু করে যার যা কিছু রয়েছে, তা নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে তিনি বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন উপলক্ষে সোমবার ( ৮ মার্চ) বিকেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভারর্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। আলোচনা সভা হয় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।
এরআগে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের স্মারক গ্রন্থ ‘মুক্তির ডাক’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় তিনি বলেন,এদেশে কিছু নির্বোধ লোক আছে যারা কিছুই বোঝেনা, কোন কিছুতেই তারা কিছুই খুঁজে পায় না। তাই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার বার্তা খুঁজে পান না।
৭ মার্চের ভাষণে যুদ্ধের প্রেরণা পেয়েছিল জনতা। অপরদিকে '৭৫ এর হত্যাকাণ্ডের পর যারা এ ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিল তারাই এখন দিনটি পালন করছে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার মেসেজ খুঁজে পান না। এটার একটা কারণ আছে। কারনটা কি? কারণটা হচ্ছে পাকিস্তানিরাও এভাষণ বুঝতে পারেনি। কারণ তারাতো বাঙালি জাতির শত্রু ছিল। আমার মনে হয় বিএনপির সঙ্গে পাকিস্তানিদের মিল রয়েছে। তাই তারা ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার মেসেজ খুঁজে পান না।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, জাহাঙ্গির কবির নানক। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সস্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, মির্জা আজমসহ প্রমুখ।
সান নিউজ/এমআর/এসএস