আবুল কালাম, ময়মনসিংহ : ভালোবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। ভালোবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিষ্কাম ভালোবাসা, ধর্মীয় ভালোবাসা, আত্মীয়দের প্রতি ভালোবাসা ও পোষ্য প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা। আর কবুতরের প্রতি এমনই এক ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো স্কুলপড়ুয়া আদিবা রহমান হেমা।
স্কুলপড়ুয়া হেমা পরম মমতা আর ভালোবাসায় বেঁচে আছে একটি কবুতরের বাচ্চা। কবুতরের মা ও বাবা খাবার খাওয়ানো বন্ধ করে দেয়ায় মরতে বসা বাচ্চাটিকে নিজের মুখে খাবার খাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে কিশোরী। নিজের মুখে খাবার নিয়ে চিবিয়ে নরম করে কিশোরী হেমা প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় পরম মমতায় কবুতরের বাচ্চাটির মুখে খাবার তুলে দেয়।
রেলওয়েতে কর্মরত এনায়েত হোসেন খানের স্ত্রী মেহেরুন্নেসসা ও তার স্কুলপড়ুয়া মেয়ে হেমার। মা-মেয়ে বের করেন কবুতরের বাচ্চাটিকে খাওয়ানোর অভিনব পন্থা।
প্রথমে ড্রপার দিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়, সে চেষ্টা কাজে না আশায় নিজের মুখে খাবার নিয়ে প্রতিদিন বাচ্চাাটির মুখে খাবার তুলে দেয় হেমা। তার মুখের খাবার খেয়ে বড় হচ্ছে কবুতরের বাচ্চাটি।
আদিবা রহমান হেমা বলেন, কোন প্রাণী মারা যাক সেটা আমার কষ্ট লাগে, কবুতরটি আমার কাছে থাকতে থাকতে আমার সাথে ওর ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এখন আর অন্য কারো কাছে ও খেতে চায় না।’ পোষা কবুতরের বাচ্চার প্রতি এমন ভালোবাসায় গর্বিত ও আনন্দিত হেমার বাবা-মা।
ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আদিবা রহমান হেমা। তাদের বাসায় ১৭ জোড়া কবুতরসহ নানান জাতের প্রজাতির কিছু পাখি রয়েছে।
সান নিউজ/কেটি